শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০১৯, ০৩:১৭ রাত
আপডেট : ১১ জুলাই, ২০১৯, ০৩:১৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাকার যানজটে রিকশাচালক দায়ী নন তারা বরং নিম্ন ও মধ্যবিত্তের পথবন্ধু

ফারুক ওয়াসিফ : যানজটের ক্রসফায়ার জাতীয় সমাধান হলো রিকশা উচ্ছেদ। যানজট কেন, এই বিকৃত নগরের কোনো সমস্যার জন্যই রিকশাচালক দায়ী নন। বরং নিম্ন ও মধ্যবিত্তের পথবন্ধু তিনি। বরং সমস্যাকে সংকটে পরিণত করা সরকারগুলোর তৈরি পরিবহন সংকটের কিছুটা সমাধান গায়ে খেটে এই রিকশাচালকেরা করেন। এখনো তারা চলাচল চালু রেখেছেন এই শহরে। রিকশা সমস্যা নয়, সমাধানের অংশ। যারা আজ রিকশা কাল রাজনীতি, পরশু নির্বাচন, তরশু জীবন এবং গতকাল রোজগার বন্ধ করলেন তারা সমাধান দেবেন কি, তারা সমস্যাকে সংকটে রূপ দেবার রূপকার। এরা অনির্বাচিত সৎপিতা এই নগরের। এরা মানুষের দুঃখ কী বুঝবেন? কী নির্মম, দেশটাকে নরক বানিয়ে সুইস ব্যাংক ভরছে যারা, তারাই দায়ী করছে রিকশাকে, জনগণের রিকশা চড়ার বিকল্পহীন অভ্যাসকে ।

বড় সড়কে রিকশা সরালে দু’দিন রাস্তা একটু হালকা পাবেন হয়তো। কিন্তু এটা রেলপাতে-সেতুতে বাঁশ দেয়ার সমাধান। যেমন ফ্লাইওভার সমাধান করেনি কিছুর। বারেবারে সমস্যার মূলকে আড়াল করে কৃত্রিম ভিলেন খাড়া করে তাকে দমন করার এই চাতুরীর শিকার কিন্তু হে মধ্যবিত্ত আপনিও। আপনার সমস্যা সমাধানের নামে এরা আরও গাড়ির ব্যবসা করবে, নিজেরা আরামে ঘুরবে, গরিবকে গরিবের বিরুদ্ধে চালাবে। ৬৯’র অভ্যুত্থানে রিকশাচালকদের ভূমিকা ছিলো। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের চিলেকোঠার সেপাইয়ের হাড্ডি খিজির তার অমর চরিত্র। ২৫ মার্চের প্রথম আঘাত এসেছিলো রিকশাচালকদের উপর। সকল আন্দোলনে এরা ছিলেন। রোদ-বৃষ্টি-বিপদে, রোগী নিয়ে দৌড়াতে সবার আগে যাকে পান তিনি একজন রিকশাওয়ালা। গ্রামের অর্থনীতিতে কাঁচা টাকারর জোগানদার এই মানুষটি সভ্যতার একেবারে তলার লোক। অর্ধেক কৃষক তিনি অর্ধেক মজুর আর পুরাটাই মানুষ। এবারে ধানের দাম না পাওয়া কৃষকেরা এসেছিলো রিকশা চালাতে। বন্ধ হওয়া পাটকলের শ্রমিকেরও ভরসা রিকশা। ছেলেমেয়ের বেতন দিতে না পারা, এনজিওদের ঋণ পরিশোধ করতে না পারা, কৃষির খরচ মেটাতে ব্যর্থ গেরাইম্যারা আসে রিকশা চালাতে। এসব জীবিকা-বিপন্নদের জন্য কোনো উন্নয়ন হয় কি? রিকশাচালকের সন্তানরা ম্যাজিস্ট্রেট হন কীভাবে ভাবেন তো? ওই মাটির মানুষের মেহনতে। নগর হুজুরেরা জীবন-জীবিকা বন্ধ করার ওস্তাদ। এরা কোনো সমাধান দিতে পারবে না। কারণ এরাই সমস্যা। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়