শিরোনাম
◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে

প্রকাশিত : ১৬ জুন, ২০১৯, ১১:৩০ দুপুর
আপডেট : ১৬ জুন, ২০১৯, ১১:৩০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবারও জলজটে ডুববে ঢাকা

ডেস্ক রিপোর্ট : বর্ষা মৌসুম শুরু হলেও রাজধানীজুড়ে চলছে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি। মূল সড়ক থেকে শুরু করে মহল্লার গলিপথ কোনোটাই বাদ যায়নি খোঁড়ার তালিকা থেকে। শুষ্ক মৌসুম শেষ হলেও চলমান খোঁড়াখুঁড়ির কারণে এবারও জলজটে ডুববে ঢাকা। নগরবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করলে অবশ্যই জনদুর্ভোগ নিরসন করতে হবে। কিন্তু এই প্রকল্পগুলো যারা তদারকি করছেন তাদের খরচ বাড়বে বলে বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই নগরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করতে হতো। কিন্তু সংস্কার কাজের চেয়ে কর্তৃপক্ষের বেশি আগ্রহ নতুন প্রকল্পে। বাংলাদশে প্রতিদিন

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে অতি বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। তাই জলজটে নগরবাসীর ভোগান্তি এবার আরও ভয়াবহ হবে।

মেগা প্রকল্পের কাজের কারণে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়ক, শাহবাগ থেকে ফার্মগেট, পল্টন থেকে মতিঝিল, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এবং রোকেয়া সরণিতে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। গত বছরের তুলনায় এবার আরও বেশি রাস্তা খোঁড়া হয়েছে। মূল সড়কগুলোর অধিকাংশেই নির্মাণ কাজ চলছে। হালকা বৃষ্টিতেই কাদায় সয়লাব হচ্ছে এসব সড়ক। রাস্তার অধিকাংশ নির্মাণ কাজের জন্য ঘিরে রাখায় তীব্র যানজট পোহাতে হয় নগরবাসীকে। এর মধ্যে বৃষ্টি হলেই এসব ভাঙা রাস্তায় সৃষ্টি হচ্ছে জলজট। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় বেড়ে গেছে বৃষ্টির পরিমাণ। শুধু মূল সড়ক নয়, এখনো কাজ চলছে ড্রেন ও গলিপথ নির্মাণেরও। বাংলামোটর, মিরপুর, বাড্ডা এলাকায় অলিগলিতে অনেক রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই এসব রাস্তায় পানি জমে তৈরি হচ্ছে জলজট। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাব থেকে সার্কিট হাউস মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে, সেগুনবাগিচা এলাকায় খুঁড়ে রাখা হয়েছে অনেক সড়ক, মৌচাক থেকে মনোয়ারা হাসপাতাল পর্যন্ত সিদ্ধেশ্বরীর অনেক জায়গা সংস্কারের জন্য খুঁড়ে রাখা হয়েছে। হাজীপাড়া পেট্রোল পাম্প থেকে আবুল হোটেল পর্যন্ত রাস্তার কিছু অংশের কাজ শেষ করে ভরাট করা হয়েছে। কিন্তু পিচ ঢালাই না হওয়ায় বৃষ্টিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসী ও এই সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদের। কাকরাইল আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের সামনের রাস্তার একাংশ, মৌচাক মার্কেটের বিপরীতে, পল্টন মোড়ের কাছেও সড়ক খুঁড়ে রাখা হয়েছে। শুষ্ক মৌসুম চলে গেলেও শেষ হয়নি সড়কের সংস্কার কাজ। এসব অসমাপ্ত কাজের জন্য বর্ষা মৌসুমে জলজটে দুর্ভোগ পোহাতে হবে নগরবাসীকে।

গত বছর প্রকল্পের কাজের কারণে পানিতে ভেসেছিল মিরপুর। এবারও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। শুধু কালশী এলাকার জলজট নিরসনে কাজ সম্পন্ন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এ এলাকায় গত বছর বৃষ্টির কারণে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি জমত। এই জলজট সমস্যা নিরসনে বাইপাস নালা তৈরি করেছে সিটি করপোরেশন। হালকা বৃষ্টিতে খুব দ্রুত নালা দিয়ে পানি নিঃসরণ হলেও বেশি বৃষ্টিতে নালা কতটা কার্যকরী হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়। কিন্তু মিরপুরের অন্য অংশগুলোতে জলজট ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। বাংলামোটর এলাকায় অধিকাংশ গলিপথ খুঁড়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে এই এলাকায় বসবাসকারী মানুষের। বাংলামোটরের বাসিন্দা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী জুয়েল আহসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এসব সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। ঈদের দিন এক ঘণ্টা বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি ছিল রাস্তায়। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে জলজট হাঁটু থেকে কোমরে পৌঁছাতে সময় লাগবে না।

এর মধ্যে প্রতিনিয়ত আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে। নগরবিশ্লেষক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ভরাট হয়ে যাওয়া নদী-খাল পুনরুদ্ধারের জন্য বারবার বলা হলেও কাজ হয়নি। এখন বৃষ্টি শুরু হলে এই পানি সরে যাওয়ার জায়গা না থাকায় জলজট তো হবেই। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে নগরবাসীকে পুরো বর্ষা মৌসুমেই এই ভোগান্তি পোহাতে হয়।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়