ইসমাঈল ইমু : শুক্রবার বিকেলে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবিতার এই লাইনটি উল্লেখ করে বলেন, নদী ভাঙ্গন রোধে এবারের বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যশোর থেকে শুরু করে তেরোখাদা, মোল্লারহাট এলাকায় বন্যায় প্লাবিত হয়। এটা অনেকদিন থেকেই চলছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, নদীর নাব্যতা বাড়ানো, ভাঙ্গন হ্রাস ও শুস্ক মৌসুমে পানি সরবরাহ নিম্চিত করার লক্ষে ২০২২ সালের মধ্যে ৫১০ কিলোমিটার নদী ডেজিং, সেচ সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য ৪হাজার ৮৮৩ কিলোমিটার সেচ খাল খনন ও পুন:খনন এবং ২০০টি সেচ স্ট্রাকচার নির্মাণ ও মেরামত, ৩টি ব্যারেজ ও রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হবে। বন্যা-লবনাক্ততা-জলাবদ্ধতা হ্রাসের জন্য ২৫০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও উপকুলীয় বাঁধ নির্মাণ, ১হাজার ৪০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উপকুলীয় বাঁধ মেরামত, ৫৯০ টি বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন অবকাঠামো নির্মাণ ও মোরমত, ১ হাজার ৩২৫ কিলোমিটার নিষ্কাশন খাল খনন, ১৯৫ কিলোমিটার সীমান্ত নর্দ তীর সংরক্ষণ এবং ৬টি আঁড়ি বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। হাওর অঞ্চলের উন্নয়নের লক্ষে ২০ বছর মেয়াদি ‘হাওর উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা ও ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। এর আওতায় হাওর অঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়ন, নদী-কাল-হাওর পুন:খননসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগনের আর্থসামাজিক উন্নয়নের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।