লিহান লিমা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু বিরোধীতার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে লোকসভা নির্বাচনে ৯০টি সংখ্যালঘু বহুল এলাকায় ৫০ শতাংশেরও বেশি আসনে জয়লাভ করেছে দলটি। ইয়ন
২০০৮ সালে একটি প্রকল্পের অধীনে ৯০টি সংখ্যালঘু জেলা চিহ্নিত করে এই সংখ্যালঘু জেলাগুলোর স্বীকৃতি দিয়েছিল সাবেক কংগ্রেস সরকার। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল ওই জেলাগুলোতে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া। সংখ্যালঘু স¤প্রদায় বহুল হওয়ার সাথে সাথে এই জেলাগুলোয় আর্থিক-সামাজিক ও মৌলিক সুবিধার সূচকগুলি জাতীয় গড়ের চেয়ে কম।
এরকম ৭৯ নির্বাচনী এলাকায় বিজেপি ৪১ টি আসন জিতেছে, যেটা ২০১৪ এর তুলনায় সাতটি আসন বেশি। কংগ্রেসের খাতায় যুক্ত হওয়া আসন গতবারের তুলনায় অর্ধেক হয়ে গেছে। কংগ্রেস ২০১৪ সালে সেখান থেকে ১২ টি আসনে জয়লাভ করেছিল। বিশ্লেষকেরা জানান যে, এবার নির্বাচনে মুসলিম ভোটারেরা কোন এক প্রার্থী, এক দল এরপক্ষে একত্রিত হয়ে ভোট দেয়নি। আরেকদিকে জোটের ২৭ জন মুসলিম প্রার্থী এইবারের লোকসভা আসনে জয়লাভ করেছে। যদিও বিজেপির ছয়জন মুসলিম প্রার্থীর মধ্যে মাত্র একজনই জয় পেয়েছে।
জয়ী মুসলিম এমপিদের মধ্যে তৃণমূলের পাঁচ, কংগ্রেসের চার, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, ন্যশানাল কনফারেন্স এবং ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগের তিনজন করে, আসাদউদ্দিন ওয়াইসীর দুজন প্রার্থী, এনসিপি, সিপিআইএম, এআইইউডিএফ এর একজন করে এমপি হয়েছেন।
সংখ্যালঘু জেলাগুলোর মধ্যে বিজেপি সর্বাধিক আসন পশ্চিমবঙ্গ থেকে পেয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, মালদা জেলার উত্তর মালদা, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, হুগলী, বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনেও বিজেপি প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। বিহারের সংলঘু বহুল সাতটি আসনে বিজেপির প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :