হ্যাপি আক্তার : আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় জামালপুরে মৌসুমি ফল লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে দামও ভালো পেয়ে খুশি লিচুর বাগান মালিকরা। তারা জানান, কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় জেলায় বাণিজ্যিকভাবে বেড়েছে লিচুর বাগান। কৃষি বিভাগের সার্বিক পরামর্শে লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে, বলছে কৃষি বিভাগ। সময় টেলিভিশন।
জামালপুর সদর উপজেলার শ্রীরামপুর, গোদাশিলা, রাঙ্গামাটিয়া, গোপালপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে লিচু বাগান রয়েছে। এসব বাগানে চায়না, বোম্বাই, মঙ্গলবাড়িসহ কয়েক জাতের লিচুর উৎপাদন হয়। কোনো কীটনাশক কিংবা বিষ প্রয়োগ না করায় এখানকার লিচুর চাহিদা রয়েছে এ অঞ্চলে।
বাগান মালিকরা বলেন, অধিকাংশ বাগানে উচ্চ ফলনশীল চায়না জাতের লিচু গাছ রয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় ফলন হয়েছে ভালো। লিচু চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছি। আমাদের বেকারত্ব লাঘব হয়েছে। এক একর জায়গা থেকে এক লাখ টাকার লিচু বিক্রি হয়েছে।
চায়না-৩ জাতের লিচু বিক্রি হচ্ছে প্রতি শ ৪শ থেকে ৫শ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য জাতের লিচু বিক্রি হচ্ছে শ প্রতি দেড়শ থেকে ২শ টাকায়।
কৃষি বিভাগ বলছে, পরামর্শ অনুযায়ী লিচু গাছের পরিচর্যা করায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সাখাওয়াত ইকরাম বলেন, আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এবং কৃষি বিভাগের সার্বিক পরামর্শে লিচু চাষিগণ তাদের বাম্পার ফলন আশা করছেন। সদর উপজেলায় লিচুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।'
চলতি বছর জেলার সদর উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। গাছ থেকে লিচু নামিয়ে বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিকরা। সম্পাদনা : রাজু আহ্সান