শিরোনাম
◈ অগ্রণী ব‌্যাং‌কের ভ‌ল্টে শেখ হাসিনার ৮৩২ ভরি স্বর্ণালংকার  ◈ ভারতে মুসলিম ছাত্রদের মূর্তির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে আর মাথা নোয়াতে বাধ্য করলো হিন্দু চরমপন্থীরা  ◈ ২০ ইউনিটের প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে কড়াইল বস্তির ভয়াবহ আগুন ◈ দেড় দশক ঘরছাড়া, তবুও দেশ ছাড়িনি: জামায়াত আমির ◈ বাংলাদেশ ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে—ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে ড. ইউনূস ◈ গণভোট অধ্যাদেশ ২০২৫ প্রকাশ: জাতীয় সনদের সংস্কার প্রশ্নে ভোট দেবেন জনগণ ◈ কড়াইল বস্তিতে দাউদাউ আগুন: পাইপ কাটা ও পানির সংকটে ফায়ার সার্ভিসের চ্যালেঞ্জ ◈ বাংলা‌দে‌শের বিরু‌দ্ধে ‌টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ৩০ ন‌ভেম্বর আসছে পাকিস্তান নারী দল  ◈ চুপ থাকুন, আপনাকেও আসামি করা হতে পারে, ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীকে চিফ প্রসিকিউটর ◈ শাহজালালে কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনা নাশকতা নয়: প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০১৯, ০৬:২৮ সকাল
আপডেট : ১২ মে, ২০১৯, ০৬:২৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেয়ে মানুষ নয়, শুধুই মানুষ!

মাধবীলতা : আঁখি আলমগীরের কথার জের ধরে আজ বলতে ইচ্ছে করছে, আসলেই কোনো মেয়েকে কখন এই সমাজ মানুষ বলে মেনে নেবে? যখন কৈশোরে মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়, তখন এই সমাজ বারবার বলতে থাকে এই বয়সে পালিয়ে বিয়ে করলো নাকি মেয়েটা? কী দেখলো ঐ ছেলেতে, যে পরিবারও মেনে নিলো? যখন বিয়েটাকে বিয়ে বলে মানতে থাকে মেয়ে, তখন এই সমাজ বলে, “আরে এ কেমন বিয়ে...? এই ছেলের সাথে এই মেয়ের বিয়ে? এই মেয়েকে কি আর কোথাও পাত্রস্থ করতে পারলো না? যখন মেয়েটিকে প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে ছেলেটা চলে গেলো, তখন এই সমাজ মেয়েটিকেই বলতে লাগলো শিক্ষিত হয়ে পাখা গজিয়ে গেছে, তাই সংসারে মন বসলো না?

পড়াশুনায় ভালো হয়েও যখন এমএস, পিএইচডি হলোনা..., তখন এই সমাজ বলতে লাগলো, “কিসের এতো ভাব যে, সিম্পল এমএসসি নিয়ে বড়াই? প্রথম শ্রেণির একটা সরকারি চাকরি করেও দিন আনতে পান্তা ফুরানো ছাপোষা কেরানির মতো জীবনযাপন করতে থাকলো, তখন সমাজ বললো, “আগে টাকার কথা ভাবলে আজকে মালয়েশিয়াকে দ্বিতীয় শহর বানিয়ে সুখে দিনাতিপাত করতে পারতো। আবার যখন টাকার কথা ভাবলো মেয়েটি, তখন উচ্চাভিলাষী আর বেপরোয়া হয়ে গেলো মেয়ে। যখন বিয়েতে প্রেম ছিলো না, তখন মেয়ের বাইরে কোথাও সম্পর্ক খুঁজে বের করার হলো! যখন সত্যিকারের প্রেম হলো, তখন ছেলেদের প্রেম নামক ট্র্যাপে ফেলার দায় নিতে হলো মেয়েকে...যখন সন্তান জন্মেও চেহারায় মাতৃত্বের ছাপ পড়লো না, তখন যৌবন ধরে রেখে ছেলে পটাবার মন্ত্র শিখলো মেয়ে! স্বামী নামক অপদার্থের কাছে চরিত্রহীন আর প্রেমিক নামক প্রতারকের কাছে ৫০ বছরেও

একইরকম থাকার গৌরব পেলো মেয়ে...আবার কিছুদিনেই বিশ্বসুন্দরী ভাবার  গৌরব আছে কিনা এমন মন্তব্যে দিনরাত গঞ্জনা শুনতে হলো মেয়েকে। যখন দিনরাত একবার দেখা পাবার আসায় চাতকের মতো চেয়ে থেকে বৃষ্টিহীন ফিরে গেলো, তখন এই সমাজ মেয়ের অনেক ভাব (এই সমাজের গুটি কয়েক প্রতিষ্ঠিত মানুষের সংস্পর্শ পেয়ে ভাব)। আবার সমাজের বড় মানুষগুলো যখন ফিরে যায়, তখন শরীরী জাহাজ শক্ত ঘাটে নোঙর বাঁধঘার তকমা পায় মেয়ে। যখন এই সমাজে নিজেকে ভার্জিন দাবি করে, তখন এই সমাজের ভার্জিন জোর করে মেয়েকে পাবার নেশায় মত্ত হয়। সমাজের ভার্জিন অক্ষুণœ থাকে, কিন্তু মেয়ে পেয়ে যায় জেদিভাব আর পতিতার তকমা।

সৃষ্টির মহিমায় সৃষ্টিশীল সমাজ গড়ার দায় পায় সৃজনশীল সমাজ...মেয়ে পেয়ে যায় বহুজনে যাচে যেই জন সেইজন সেবিছে সমাজ। হায় রে মেয়ে! আর কতো? আর কবে পথের প্রান্তে লেখা থাকবে, মেয়ে নয়, মানুষ এই সমাজের সব মেয়ে? সে অবিবাহিত, বিবাহিত, ডিভোর্সি, সিঙ্গেল, মা বোন কিংবা পতিতাই হোক। সে মেয়েমানুষ নয়, শুধুই মানুষ...! তার সব কিছুতেই দোষ নেই। সব চলায় পাপ নেই...সেও বাঁচবে সব কিছুর উর্ধ্বে। সে জানবে, বেঁচে থাকাই নয়, সুস্থভাবে সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচাই জীবনের জন্য বাঁচা?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়