শিরোনাম
◈ ভুয়া জুলাই শহীদ-যোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ◈ কুয়াকাটা সৈকত থেকে আবারও অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার ◈ আদমদীঘিতে ভাঙা রেললাইনে কম্বল গুঁজে ১৮ ঘন্টা ট্রেন চলাচল ◈ জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ব্যক্তি বিবেচনায় এলএনজি কেনা হচ্ছে না, পিটার হাসের কোম্পানি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ◈ বিসিএস পরীক্ষা: কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত ◈ চশমা ছাড়াই স্পষ্ট দেখা সম্ভব, কার্যকর আই ড্রপ উদ্ভাবন ◈ যেসব বিষয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন বেতন কাঠামোতে  ◈ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে ইসরা‌য়েল‌কে বহিষ্কারের দাবি জানা‌লেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ◈ কূটনৈতিক সংকট ছাপিয়ে বাণিজ্যে ভারত–বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বাড়ছে

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:১১ সকাল
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমার প্রিয় কবিতার নাম ‘অবনী, বাড়ী আছো’?

কুলদা রায় : কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের এই কবিতাটি নিয়ে আমি একটা ছবিও এঁকেছিলাম ময়মনসিংহের একটি দেওয়ালে। তুলি দিয়ে পুরো কবিতাটি লিখে রেখেছিলাম ছবির পাশে। এই বাড়িটির নাম দিয়েছিলাম অবনীর বাড়ি। এখানেই ছিলাম আমি দশ বছর। যারা এই গ্রামে ফুল দেখতে আসতেন, একটু ঘুরে-ফিরে বেড়াতে চাইতেন—তারা এই দেওয়ালজুড়ে ছবিটা দেখে অবাক হতেন। তার নিচে দাঁড়িয়ে সপরিবারে ছবি তুলতেন। আর মুখস্থ করে নিতেন পুরো কবিতাটি। পথে যেতে যেতে হেঁকে বলতেন, ‘অবনী, বাড়ী আছো’?

অবনী, বাড়ী আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে কবিতাটির একটি লাইন আমি পড়ে আমি চমকে গিয়েছিলাম। লাইনটি হলো- ‘এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে’। অদ্ভুত। তারপর মেঘ দেখলেই গরুর পালের কথা মনে হতো। মনে হতো মেঘগুলো ঘাস খেয়ে বাঁচে। সেটা নব্বই সালের পরে। একদিন লখাকাঠী পার হয়ে টোনা খালে ঢুকেছি। আমাদের নৌকা ঢুকে পড়েছে কালিগঙ্গা নদীতে। যাব চান্দকাঠি। তার আগে মাঝি হেঁকে বললেন- মেঘপাল। মেঘপাল।

শুনে আমি আকাশের দিকে তাকাই। আকাশ পরিষ্কার। মেঘের চিহ্ন নেই। মাঝি ঘাটের দিকে নৌকা ভেড়াচ্ছেন। লোকজন নেমে যাচ্ছে। পাশের লোক নেমে যাওয়ার আগে ঠেলা দিয়ে বললেন, আকাশে কী দেখেন? মেঘপাল তো সামনে। কী-রকম? যে ঘাটে নৌকা ভিড়েছেÑ সে গ্রামের নাম মেঘপাল। আমি ছাড়া এরা সবাই মেঘপাল গ্রামের মানুষ। পরে ভাবি, শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা লেখার অনেক অনেক আগে বরিশালের লোকজন নদীর গা ঘেষে প্রিয় গ্রামটির নাম রেখেছিলেন- মেঘপাল! এ গ্রামের নদীর পাড়ে মেঘগুলো আকাশ থেকে পালে পালে নেমে এসে ঘাস খায়—নীরবে চরে বেড়ায়। এই মেঘপাল গ্রাম থেকে মাত্র সাত মাইল দূরে জীবনানন্দের বাড়ি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়