শিরোনাম
◈ পরিবেশ বিধ্বংসী ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস করলেন ইউএনও ◈ ৮৫০ কোটি টাকার সার কিনছে সরকার, এলএনজি আমদানির অনুমোদন  ◈ এনবিআরের লুতফুলসহ ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান ◈ নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য হবে না: অর্থ উপদেষ্টা ◈ মে‌সি আর্জেন্টিনায় ফির‌তে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ছেন? ◈ বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১১ ব্যাংকের সম্পদের মান যাচাই করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ রূপালী ব্যাংকের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থাকবে ◈ গুমের শিকার পারভেজ কন্যা নিধি'র বক্তব্য শুনে কাঁদলেন তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ জাপানে বাঁচার যুদ্ধ হেরে গেলেন বাংলাদেশের আপন: না খেয়ে মৃত্যু এক মেধাবীর ◈ আপনারা কখনও শান্তি পাবেন না, যতক্ষণ না দুঃখ প্রকাশ করেন : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:১১ সকাল
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমার প্রিয় কবিতার নাম ‘অবনী, বাড়ী আছো’?

কুলদা রায় : কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের এই কবিতাটি নিয়ে আমি একটা ছবিও এঁকেছিলাম ময়মনসিংহের একটি দেওয়ালে। তুলি দিয়ে পুরো কবিতাটি লিখে রেখেছিলাম ছবির পাশে। এই বাড়িটির নাম দিয়েছিলাম অবনীর বাড়ি। এখানেই ছিলাম আমি দশ বছর। যারা এই গ্রামে ফুল দেখতে আসতেন, একটু ঘুরে-ফিরে বেড়াতে চাইতেন—তারা এই দেওয়ালজুড়ে ছবিটা দেখে অবাক হতেন। তার নিচে দাঁড়িয়ে সপরিবারে ছবি তুলতেন। আর মুখস্থ করে নিতেন পুরো কবিতাটি। পথে যেতে যেতে হেঁকে বলতেন, ‘অবনী, বাড়ী আছো’?

অবনী, বাড়ী আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে কবিতাটির একটি লাইন আমি পড়ে আমি চমকে গিয়েছিলাম। লাইনটি হলো- ‘এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে’। অদ্ভুত। তারপর মেঘ দেখলেই গরুর পালের কথা মনে হতো। মনে হতো মেঘগুলো ঘাস খেয়ে বাঁচে। সেটা নব্বই সালের পরে। একদিন লখাকাঠী পার হয়ে টোনা খালে ঢুকেছি। আমাদের নৌকা ঢুকে পড়েছে কালিগঙ্গা নদীতে। যাব চান্দকাঠি। তার আগে মাঝি হেঁকে বললেন- মেঘপাল। মেঘপাল।

শুনে আমি আকাশের দিকে তাকাই। আকাশ পরিষ্কার। মেঘের চিহ্ন নেই। মাঝি ঘাটের দিকে নৌকা ভেড়াচ্ছেন। লোকজন নেমে যাচ্ছে। পাশের লোক নেমে যাওয়ার আগে ঠেলা দিয়ে বললেন, আকাশে কী দেখেন? মেঘপাল তো সামনে। কী-রকম? যে ঘাটে নৌকা ভিড়েছেÑ সে গ্রামের নাম মেঘপাল। আমি ছাড়া এরা সবাই মেঘপাল গ্রামের মানুষ। পরে ভাবি, শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা লেখার অনেক অনেক আগে বরিশালের লোকজন নদীর গা ঘেষে প্রিয় গ্রামটির নাম রেখেছিলেন- মেঘপাল! এ গ্রামের নদীর পাড়ে মেঘগুলো আকাশ থেকে পালে পালে নেমে এসে ঘাস খায়—নীরবে চরে বেড়ায়। এই মেঘপাল গ্রাম থেকে মাত্র সাত মাইল দূরে জীবনানন্দের বাড়ি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়