আবুল বাশার শেখ, ময়মনসিংহ : ভালুকায় চরম অবহেলিত জীবনযাপন করছেন মুক্তিযোদ্ধে শহীদ দুই পরিবার। দুই পরিবারের ৫ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে পাক সেনারা। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের ভাগ্যোন্নয়ন হয়নি। এখনও তাদের খোঁজ নেননি কেউ। প্রমাণপত্র না থাকায় বর্তমানে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
স্বজনরা জানান, সরকারের বিভিন্ন দফতরে অসহায় পরিবারগুলো দৌড়ঝাঁপ করে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর পাকা করার সামান্য অর্থ সহায়তা পেলেও শহীদদের তালিকায় তাঁদের স্থান হয়নি।
শহীদ ডাঃ আঃ ছামাদের বড় ছেলে রফিকুল ইসলাম লাল মিয়া জানান, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১৮ জুলাই মঙ্গলবার ফজরের নামাজের সময় ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের ভান্ডাব (বয়ডাপাড়া) গ্রামের ডাঃ আঃ ছামাদ তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগম, ছেলে ছাত্রনেতা আঃ করিম, বড় ভাই ছফির উদ্দিন ও তার স্ত্রী নছিমন্নেছাকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। অন্যান্য জীবিতদের পাকিস্তানী ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মল্লিকবাড়ী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আশরাফ উদ্দিন মিলিটারি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই পরিবারের সদস্যরা পাক হানাদার বাহিনীর হাতে গণত্যার স্বীকার হয়েছে এবং তারা আওয়ামীলীগ করতো। তারা যেহেতু যুদ্ধ করে মারা যাননি তাই শহীদ তালিকায় নাম নেই।
ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ কামাল বলেন, খোঁজ নিয়ে এই ২পরিবারকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে। তাদেও বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ রির্পোট চাইলে সঠিক তথ্য দেয়া হবে। শহীদ পরিবারকে বসবাসের জন্য আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়ার আশ্বাস দেন এবং উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি বলেন।