শিরোনাম
◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৭ দুপুর
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হামলা পাল্টা হামলায় যেনো পরমানু অস্ত্র ব্যবহার না হয়, প্রত্যাশা তসলিমা নাসরিনের

জিয়ারুল হক : ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা ও হামলা পাল্টা হামলায় যেন পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করা হয় সেই প্রত্যাশা করেছেন আলোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সময় টিভি

পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে উপমহাদেশের প্রায় ২০০ কোটি লোক মারা যাবে বলে আশঙ্কা তার। বুধবার নিজের ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তসলিমা নাসরিন।

তিনি লেখেন, মনে হচ্ছে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। নিরপরাধ মানুষ মরুক চাই না। জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেয়া হোক, ঠিক আছে। দু’দেশ যেন একটি কাজ না করে, পারমাণবিক বোমার ট্রিগার যেন না টেপে। তাহলে উপমহাদেশের সবাই কিন্তু নিশ্চিত মরবে। অন্তত ২০০ কোটি মানুষ তো মরবেই।

এর আগে একই দিনে দেয়া আরেক স্ট্যাটাসে তসলিমা লেখেন, আমি বরাবরই রাজনীতি কম বুঝি। ঠিক বুঝতে পারছি না কী ঘটেছে পাকিস্তানে। ভারত দাবি করছে, পাকিস্তানের বালাকোটে এক হাজার কিলো বোমা ফেলে সন্ত্রাসী জইশ-ই-মোহাম্মদের ক্যাম্প ধ্বংস করে দিয়েছে, তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ সন্ত্রাসী বোমায় মারা পড়েছে।

ওদিকে পাকিস্তান বলছে, জঙ্গলে গিয়ে বোমা ফেলেছে ভারত। কিন্তু কেউ মরেনি, এক লোক খানিকটা শুধু জখম হয়েছে। পাকিস্তানের টিভিতে কপালে ব্যান্ডেজ বাঁধা লোককে দেখানো হলো।

আমার প্রশ্ন, এতগুলো লোক মরলো, হইচই কোথায়? আহতদের নিয়ে তো হাসপাতালে ছোটাছুটি হওয়ার কথা। কেউ না কেউ তো নিহতদের ছবি আর কোথাও না হোক, অন্তত সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবে।পাকিস্তানের সরকার বা মিডিয়া যদি খবর লুকায়, বালাকোটের সাধারণ মানুষও কি চুপ করে থাকবে! নেটে কিছু খুঁজে পেলাম না। জানিনা কে মিথ্যে বলছে।ভারতের মানুষ খুশি, বদলা নেয়া গেছে। পাকিস্তানের মানুষ খুশি, ভারত কাউকে মারতে পারেনি। মানুষ খুশি থাকলেই ভালো। খুশি থাকো, মিলেমিশে থাকো। সন্ত্রাস করো না, মানুষ মেরো না। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে লড়াই হলে আমার শুধু মনে হয় ভাইয়ে ভাইয়ে লড়াই হচ্ছে।

একসময় তো একই দেশের মানুষ ছিলো। পার্টিশানটা করেই শত্রুতা বাড়ালো। ভারতকে এখন সন্ত্রাসী প্রতিবেশীদের নিয়ে বাস করতে হয়। পার্টিশান না করলে এত মুসলমান কি সন্ত্রাসী হতো? একটা গণতন্ত্রের মধ্যে থাকা আর একটা ধর্মীয় দেশে থাকার মধ্যে পার্থক্য আছে না?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়