নাহিদ মোর্শেদ : সীমান্ত ডাটা সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন মেজর জেনারেল মো: সাফিনুল ইসলাম অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ড ঘটছে ভারতীয় সীমান্তের ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার ভেতরে। এগুলো সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নয়। নো-ম্যানস ল্যান্ডে বাংলাদেশের ভেতরে ১৫০ গজ ও ভারতের ভেতরে ১৫০ গজের মধ্যে হত্যার ঘটনা হলে সেটাকে সীমান্ত হত্যা বলা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিজিবির মহাপরিচালক । তিনি বলেন, কোনো হত্যাই গ্রহণযোগ্যনয়, প্রতিটি জীবন ম‚ল্যবান হত্যাকান্ড হচ্ছে ভারত সীমান্তে । আমরা বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিটি হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। বাংলা ট্রিবিউন
বুধবার ৬ ফ্রেবুয়ারি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি’র সদর দফতর পিলখানায় ‘সীমান্ত ডাটা সেন্টার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সীমান্তে সংঘটিত হত্যা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সীমান্তে মারা গেছে মাত্র একজন। সেটা এখন আট জনে দাঁড়িয়েছে। সব হত্যাকাণ্ড সীমান্তে হচ্ছে তা নয়। বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সীমান্তের ১০-২০ কিলোমিটার ভেতরে হচ্ছে। সিলেট সীমান্তে খাসিয়ারা রয়েছে। অবৈধভাবে যখন বাংলাদেশিরা ঢুকছে, তখন শুধুু ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরিই নয়, সেদেশের খাসিয়ারাও তাদের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করছে। আমরা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, সামান্য কিছু টাকার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী ভারতীয় সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে। আবার কিছু মানুষের আত্মীয়-স্বজন সীমান্তের ওপারে আছে। তারা ঐতিহাসিকভাবে যাওয়া-আসা করে থাকে। যারা কোনও আত্মীয়ের অনুষ্ঠান বা বিশেষ কোনও প্রোগ্রামে অংশ নিতে চায়, তখন আমাদের বললেই সেই ব্যবস্থা আমরা করে দেই। বিএসএফ-ও এটা অ্যালাউ করে। আমাদের মধ্যে সেই বন্ধুত্বপ‚র্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের নাগরিকদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা যে অন্যায় সেটা বুঝাতে হবে।
বন্ধুত্বপ‚র্ণ সম্পর্ক থাকা অবস্থাতেও কেন হত্যাকাণ্ড ঘটছে এমন প্রশ্নে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ওদের ব্যাটেলিয়ন পরিবর্তন হয়। অন্য সীমান্ত থেকে এখানে আসে। আমাদের সীমান্তে এসে আমাদের মধ্যে যে বন্ধুত্বপ‚র্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা অনেক সময় তারা বুঝতে পারে না। তবে সীমান্তের এসব সমস্যা সমাধানে তারা আন্তরিক ।
আপনার মতামত লিখুন :