পরিবর্তন : নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে নূর মাওলা বাদশা (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজ থাকার কারণে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হয়নি তার।
রোববার দুপুরে জনতা বাজার সংলগ্ন একটি বাগান থেকে নূর মাওলা বাদশাকে উদ্ধার করা হয়। সে ওই এলাকার সামছু ড্রাইভারের বাড়ির রফিকুল ইসলামের ছেলে। বাদশা স্থানীয় কেরামতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে আসে নূর মাওলা বাদশা। সন্ধ্যায় জনতা বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় সে। পরে রাতে আর ফিরেনি বাদশা। রোববার সকাল পর্যন্ত সম্ভাব্য স্থানে খুঁজে তার কোনো সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। পরে দুপুরে জনতা বাজার সংলগ্ন একটি বাগানের ভিতরে হাত-পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় বাদশাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়।
বাদশার বরাত দিয়ে তার চাচা নূর নবী বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর বাদশার জ্ঞান ফিরেছে। বাদশা তাদের জানিয়েছে, সন্ধ্যায় বাজার থেকে সে বাড়িতে যাচ্ছিল। এ সময় বাজারের দক্ষিণ পাশে পৌঁছলে শক্ত কিছু দিয়ে প্রথমে মাথার পিছনে আঘাত ও পরে নেশাদ্রব্য তার মুখে লাগিয়ে অচেতন করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সে আর কিছু বলতে পারছে না।
বাদশার অভিযোগ, অনেক আগ থেকেই সহপাঠি শহিদ ও একই এলাকার আমিনুল হক আফসারের সাথে বিরোধ ছিল তার। ওই দু’জন তাকে পরীক্ষা দিতে দিবে না বলে হুমকি দিয়েছিল। তার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে সে।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাহেদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, অভিযোগে আধা ঘণ্টার মধ্যে নূর মাওলা বাদশাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।