শিরোনাম
◈ সহিংসতার ঢেউয়ে কেঁপে ওঠা বাংলাদেশের সামনে নতুন পথ রচনার সুযোগ  ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল ◈ ইং‌লিশ লি‌গে অ‌নেক ক‌ষ্টে জিত‌লো আর্সেনাল ◈ ঢাকার উদ্বেগ: বাংলাদেশে ‘ভারতবিরোধী স্রোত’, দিল্লির গভীর উদ্বেগ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কি সহিংসতায় ব্যাহত হবে? ◈ ১০ জনের সেভিয়ার বিরু‌দ্ধে রিয়াল মাদ্রিদের জয়, রোনালদোর রেকর্ড ছুঁলেন এমবাপ্পে ◈ হালান্ডের কীর্তির দিনে ও‌য়েস্ট হ‌্যা‌মের বিরু‌দ্ধে ম‌্যান‌চেস্টার সি‌টির জয় ◈ সাবেক ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ ◈ তারেক রহমানকে বহনকারী ফ্লাইট থেকে মধ্যরাতে দুই কেবিন ক্রু প্রত্যাহার করলো বিমান ◈ নির্বাচন ও গণভোট ঘিরে সরব কূটনীতিকরা: কঠোর নিরাপত্তার বার্তা সরকারের ◈ ভালুকায় হিন্দু যুবককে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা, কী ঘটেছিল সেখানে

প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৪:৩২ সকাল
আপডেট : ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৪:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যিনি বাংলা লেখায় সহজলভ্যতা আনলেন, তিনি নেই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিতে

দ্য বাংলাদেশ টুডে : মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র মেহেদী হাসান খান। উসকো-খুসকো চেহারার হাসিখুশি, প্রাণোচ্ছল ছেলেটা স্বপ্ন দেখলো বাংলা ভাষাকে সারা পৃথিবীর কাছে খুব সহজে পৌঁছে দেওয়ার। কীভাবে সম্ভব সেটা? মেহেদী ভেবে বের করলো এর সমাধান। যদি এমন একটা সফ্টওয়্যার বানানো যায়, যাতে ইংলিশ অক্ষরে টাইপ করেই বাংলা লেখা সম্ভব, শুধু তা হলেই অনেক মানুষ খুব সহজে টাইপ করে ফেলতে পারবেন বাংলা ফন্টে। সূত্র : দ্য বাংলাদেশ টুডে

দিন-রাত এক করে, খাওয়া-ঘুম ভুলে হোস্টেলের ঘরেই একটা ছোট্ট কম্পিউটার সম্বল করে শুরু হয়ে গেলো মেহেদীর লড়াই। যার ফল- সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারি সমস্ত কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত ‘অভ্র কিপ্যাড’। যা অনেকেই ব্যবহার করেছেন এবং করে চলেছেন। না করে থাকলেও অন্তত নাম তো শুনেছেনই। এই মেহেদী হাসান খানেরই ব্রেন চাইল্ড ‘অভ্র’।

১৮ বছর বয়সের বৈপ্লবিক ভাবনা-চিন্তা। ১৮ বছর বয়সের সমস্ত এনার্জি, উৎসাহকে একটা ঘরে বন্ধ করে রাখা। অদম্য পরিশ্রমে ওই চার দেওয়ালের মধ্যেই স্বপ্ন সফল। আর এই সব কিছু হলো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়তে-পড়তে। এটাই গল্প ড. মেহেদী হাসান খানের।

খুব একটা সহজ ছিলো না কাজটা, বিশেষ করে মেডিকেল পড়তে-পড়তে। শিক্ষকরা একসময় বলে দিয়েছিলেন যে, এই ছেলে ডাক্তার হওয়ার অযোগ্য। মেডিকেল কলেজ ছেড়ে দেওয়া উচিত মেহেদীর। হাল ছাড়েননি তিনি। সত্যি করেছে ‘অভ্র’র স্বপ্নকে, আর সম্মানের সঙ্গে পাস করেছে ডাক্তারিও। তৈরি করেছেন নিজের স্লোগান, ‘ভাষা হোক উন্মুক্ত’।

মেহেদীর এই আবিষ্কারের ফলে কোটি-কোটি টাকা বেঁচেছে সরকারের। সমস্ত সরকারি দপ্তরগুলোতে ব্যবহৃত হয় ‘অভ্র’। লেখা হচ্ছে সরকারি ফাইলে, তৈরি হচ্ছে আমাদের পরিচয়পত্র। আর এতো সবের মাঝে সরকার কিন্তু ভুলেই গিয়েছে ‘অভ্র’র জনকের কথা। কারণ? ছেলেটা যে কিছুই চায়নি তার এই আবিষ্কারের পরিবর্তে। না অর্থ, না পরিচিতি। চিরকাল প্রচারবিমুখ, বিনয়ী ছেলেটা তাই এতো বড় একটা কাজ করেও রয়ে গেলো প্রচারের আলোর বাইরেই। পেলো না কোনো সরকারি স্বীকৃতি বা পুরস্কারও।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়