ডেস্ক নিউজ : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের পর থেকে বিএনপিকে দেখলে মনে হয় শিল্পী জয়নুলের আঁকা ছবি কাদায় আটকে থাকা গরুর গাড়ির মতো। বিএনপির উচিত অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া। তবে তারা কোন শিক্ষা নিবে, এমনটা মনে হয় না। তারা ভুলের কাদায় আটকে আছে।
বারবার লোকসান দিয়ে বিআরটিসি আর কতদিন চলবে বলে প্রশ্ন রেখেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সরিষার মধ্যে ভূত থাকলে তা তাড়াতে হবে। যাত্রার শুরুতে প্রথম রাতেই বিড়াল মারতে হবে। কোনো আপোষ করা চলবে না। করাপ্ট (দুর্নীতিবাজ) অফিসারদের বাদ দিয়ে দিতে হবে। যারা দুর্নীতির সঙ্গে বিআরটিসিকে সমার্থক করে ফেলেছেন তাদের এখানে থাকার কোনো অধিকার নাই।
মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে বিআরটিসি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘বিআরটিসির চলমান এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে দিকনির্দেশনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিআরটিসিতে দুর্নীতি বাসা বেঁধে আছে। যারা কাজ করেন না তাদের বলছি, কাজের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে দেশের প্রতি ভালোবাসা আছে- এটা ভাবার কারণ নাই। নিজেদের পকেটের উন্নয়ন নয়, বিআরটিসির উন্নয়নে কাজ করুন।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনেক দাম দিয়ে বিআরসিটি বাস কেনা হচ্ছে। কিন্তু কিছু দিন পর ডাম্পিংয়ে চলে যাচ্ছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে সরকারকে। সরকারি কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশ থেকে গাড়ি কিনে এনে দেশের মানুষ কী সুফল পাচ্ছে তা দেখতে হবে। এসময় বিআরটিসিকে দুর্নীতি মুক্ত করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর থেকে বিএনপিকে দেখলে মনে হয় শিল্পী জয়নুলের আঁকা ছবি কাদায় আটকে থাকা গরুর গাড়ির মতো। বিএনপির উচিত অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া। তবে তারা কোন শিক্ষা নিবে, এমনটা মনে হয় না। তারা ভুলের কাদায় আটকে আছে।
তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্য হচ্ছে শোচনীয় পরাজয়ের পর অসংলগ্ন প্রলাপ। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির রাজনৈতিক অধিকার, সুযোগ নয়। এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র অবস্থায় থাকলে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিতো না।
বিএনপি মহাসচিব পরিবর্তনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম একজন সজ্জন ব্যক্তি। লোক হিসেবে তিনি ভালো ব্যক্তি। ফখরুলের বক্তব্য আবাসিক সুলভ প্রতিনিধির মত নয়। বিএনপি তাকে মহাসচিব রাখবে কিনা এটা তাদের বিষয়।