উল্লাস মূর্তজা : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিষ্টার তানযীব-উল আলম বলেছেন, খালেদা জিয়া কোনোভাবেই নির্বাচনের যোগ্য বিবেচিত হবেন না। কারন নৈতিক স্থলন জনিত মামলায় স্থগিতাদেশের কোনো সুযোগ নেই। মঙ্গলবার ‘ডিবিসি নিউজ’-এর ‘রাজকাহন’ টকশোতে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে নির্বাচনী আইন, নির্বাচন কমিশন স্ব-প্রণোদিত হয়ে কোনো আদেশ দেওয়ার এখতিয়ার নেই। যদি কোনো ব্যক্তি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করে, তবেই নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে কোনো ব্যক্তি নির্বাচনের যোগ্য কি যোগ্য না তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি মুক্ত থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন তাহলে খালেদা জিয়া কেনো পারবেন না? বিএনপি নেতা সানাউল্লা মিয়ার এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোনো মামলায় দ-িত নন, খালেদা জিয়া ইতিমধ্যে ২টি মামলায় দ-িত হয়েছেন। তাই কোনো দ-িত ব্যক্তির সাথে, যিনি দ-িত নন তাকে তুলনা করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময় এ আইন আদালত কোথায় ছিলো? দর্শকের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আইন আদালত তার নিজস্ব জায়গায়ই ছিলো। তৎকালীন সময়ে আদালত নিজে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এরশাদের মামলার ব্যাপারে ১৯৯৬ সালে মাহিদুল ইসলাম হাই কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন, কিন্তু রিটের দূর্বলতার কারণে ঐ সময় এরশাদকে থামানো সম্ভব হয়নি। কারণ রিট পিটিশন দাখিল করার আগে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হয়েছিলো না। তিনি সরাসরি হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন, ফলে আইনি জটিলতায় এরশাদকে থামানো যায়নি।
এবারের নির্বাচনে দেখা গেছে অনেক দুর্নীতিবাজ, ঋণ খেলাপি প্রার্থীদের মনোনয়নের বৈধতা দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো অভিযোগ ছাড়া কোর্ট স্ব-প্রণোদিত হয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই, রিটার্নিং কর্মকর্তারা বেআইনী কাজ করেছেন। যদি প্রতিদ্বন্দী ব্যক্তি যদি বলে তার কোনো আপত্তি নেই তাহলে নির্বাচন কমিশনেরও কিছুই করার থাকে না। নির্বাচন আইনে আছে নির্বাচন কমিশনের যেকোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আপিল করা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :