রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের স্টাফ কোয়ার্টার ও বি-টিম মাঠ দখলের প্রতিবাদে জেলা শহরের ১নং ট্রাফিক মোড়ে বুধবার বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্ররা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী পালন করে।
গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের ভূমি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পালের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক বলেন, জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি ভূমি উদ্ধারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এই স্মারকলিপিটি তিনি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও উল্লেখ করেন।
মানববন্ধন চলাকালে প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, জেলা জাসদ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শাহ শরিফুল ইসলাম বাবলু, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আহসান হাবীব রাজীবসহ অন্যান্যদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম রুবেল, শহিদুল ইসলাম পটল, মাহমুদুল রাসেল, রেজাউল করিম রেজা, রাকেশ কুমার দে, রায়হাতুল ইসলাম। এছাড়া কর্মসূচীর সাথে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা নারী মুক্তি কেন্দ্রের নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী প্রমুখ।
মানববন্ধন চলাকালে বর্তমান শিক্ষার্থীরা পথচারীদের মধ্যে ভূমি দখলের প্রতিবাদে দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করে। এব্যাপারে সারা শহরে পোস্টার লাগানো হয় এবং মানববন্ধনেও শিক্ষার্থীরা পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ১৫০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ছাড়াও ১ একর ৭৩ শতাংশ জমি রয়েছে। উক্ত জমির একাংশে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক কোয়ার্টার এবং একটি খেলার মাঠ রয়েছে, যা বি-টিম মাঠ হিসেবে পরিচিত। সেখানে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত খেলাধুলা করে থাকে।
জনৈক প্রাক্তন শিক্ষক হাফিজুর রহমান চাকরি থেকে বরখাস্তের পর তার বকেয়া পাওনা ৫ হাজার ৮শ ৫০ টাকার বিপরীতে উক্ত ৭৩ শতাংশ জমি তার নিজের বলে দাবি করে আসছেন। এই অন্যায় দাবি চরিতার্থ করার লক্ষ্যে কতিপয় ভূমিদস্যুকে এব্যাপারে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তা জবর দখল করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :