শিরোনাম
◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে  প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন  ◈ পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফে'র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত ◈  কমবে তাপমাত্রা, মে মাসেই কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা ◈ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবেন না ইমরান ও বুশরা ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০১৮, ০৪:০৫ সকাল
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০১৮, ০৪:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ন্যায়বিচার সবার জন্য সমান হতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে

গোলাম মাওলা রনি : বিউটিকে ধর্ষণ এবং হত্যা আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের একটি উদাহরণ। সমাজের সর্বক্ষেত্রেই অস্থিরতা, বিচারহীনতা, প্রভাবশালীদের জন্য সব আলাদা, গরিবের জন্যও সব আলাদা। এই যে বৈষম্যের মন মানসিকতা সৃষ্টি হয়েছে, এই মন মানসিকতার কারণে সবল, স্বচ্ছ, ক্ষমতাশালী এই মানুষ গুলো মনে করে, আমরা অন্যায় করলে আমাদের কোন কিছু হবে না। যারা গরিব এবং দূর্বল, তাদেরকে সবসময় সরকারি সম্পত্তি মনে করে। যার ফলে তারা একের পর এক অন্যায় করেই যাচ্ছে। অনেকে ধরা পড়ে, আবার অনেকে ধরা পড়ে না, অনেক ক্ষেত্রে আসামীর পরিচয়ই গোপন থেকে যায়। বিচারহীনতা, বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা, এগুলো একটি বিরাট ফ্যাক্ট। এখানে আরো তিনটি ফ্যাক্ট কাজ করছে, সেগুলো হলো, প্রথমত যারা ধর্ষণ করে তারা মানসিকভাবে অসুস্থ লোক। এই অসুস্থতার কারণে, সে যাকে ধর্ষণ করেছে সে ধর্ষণের জন্য একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দ্বিতীয়ত, ধর্ষক মনে করেছে, ধর্ষণ করার পর তার কোন অসুবিধা হবে না এবং সে নিরাপদে নির্বিঘেœ ধর্ষণ করে পার পেয়ে যাবে। তৃতীয়ত, ধর্ষকের মনে একটি ফিউডাল মানসিকতা কাজ করেছে। ধর্ষণ করার পর যখন এই মেয়েটি প্রতিবাদ করেছে, জানাজানি করেছে, তখন তার ভিতরে ফিউডাল মানসিকতা কাজ করে যে, তোর এত বড় সাহস, তুই বিচার চাস, প্রতিবাদ করস। তখন তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়েছে। সমাজে এই যে মানুষের মধ্যে বিভেদ, বৈষম্য তৈরি হয়েছে, এটি একটি সামাজিক রোগ এবং অস্থিরতা। এটা একটা উদাহারণ, কিন্তু এই মন মানসিকতা টা অনেক মানুষের মধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে। কেউ ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে, কেউ অন্যের সম্পত্তি দখল করতে গিয়ে, কেউ অন্যকে অত্যাচার করতে গিয়ে এই ধরনের একই মানসিকতা বহন করছে।

এটা বন্ধ করতে হলে রাষ্ট্রকে আইন প্রয়োগে কঠোর হতে হবে এবং ন্যায়বিচার সবার জন্য সমান হতে হবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এটা ছাড়া এই মূহুর্তে অনেক কিছুই কাজ করবে না। আমরা যে সুন্দর কথাবার্তা বলি, সচেতনতা বৃদ্ধি করা, এই করা সেই করা, এগুলো ভুল প্রক্রিয়া। এই মুহূর্তে যেগুলো বুলেট আকারে কাজ করবে সেগুলো হলো, দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি প্রদান এবং এদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কঠোর অবস্থানে গেলেই এগুলো টনিক আকারে কাজ করবে এবং ধীরে ধীরে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন সৃষ্টি করতে হবে। তবে রাষ্ট্রকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।

পরিচিতি : সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ/মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়