ফারমিনা তাসলিম: স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন উপলক্ষে গোপালগঞ্জের একটি মাধ্যমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লতিফা আক্তার শিউলি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন এ নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা বাড়বে এবং গণতন্ত্রের প্রতি তারা শ্রদ্ধাশীল হবে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অধিকার আদায়ে সচেতন হতে পারবে।
কৈশোর থেকে গণতন্ত্র চর্চা আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিবেশ উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করতে দেশের মাধ্যমিক স্কুল-মাদ্রাসায় শনিবারে স্টুডেন্টস কেবিনেট বা শিক্ষার্থীদের মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। দেশের সাড়ে ২২ হাজারেরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ভোটের মাধ্যমে এ নির্বাচন হবে। যেখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভোট দিবে, আর তাদের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থীরা নির্বাচিত হবে।
গত তিন বছর ধরে এ ধরনের কেবিনেট গঠন করা হচ্ছে স্কুল ও কলেজে। অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছাড়াও ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে তাদের যুক্ত করতে এ নির্বাচনটা হচ্ছে।
সে উদ্দেশ্য কতটুকু অর্জিত হচ্ছে?
জবাবে শিক্ষক লতিফা আক্তার বলেন, একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এটি শুরু হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এটা বাস্তবায়ন খুবই কঠিন। বিভিন্ন জায়গায় বাস্তবায়ন হচ্ছে, আবার বিভিন্ন জায়গায় বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ কেবিনেট নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রতি ছোটবেলা থেকে শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধাশীল হবে। এই উদ্দেশ্যই নির্বাচনটা করা। সংসদ, ইউপি বা বিভিন্ন নির্বাচন যেভাবে হয় ঠিক সেরকমভাবে এ নির্বাচনটা হচ্ছে। তারা এখান থেকে নির্বাচন সম্পর্কে শিখছে এবং তারা অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে উদ্দেশ্য এটা করা হচ্ছে সেটা তারা বুঝছে না। স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি নির্বাচিত প্রার্থীদের সহায়তা করে তাহলে তারা এ নির্বাচনের মূল্যটা বুঝতে পারবে। বিশেষ করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, ’আমি নেতা, আমি সব করতে পারি’।
স্কুলগুলো তো একটা পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত হয় এর মধ্যে আপনারা শিক্ষক এবং কর্মকর্তারাও থাকেন। আপনাদের কাছে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা তারা কি তাদের সমস্যা বা অসুবিধা তাদের যে প্রয়োজনগুলো তুলে ধরতে পারছে ? নিজেদের অধিকারের ব্যাপারে কতটা সচেতন ?
জবাবে শিক্ষক লতিফা আক্তার বলেন, তাদের যে কাজগুলো দেয়া হচ্ছে সেগুলো দায়িত্বের সাথে করছে। তাদের নিজেদের অধিকার বা দাবি, স্কুলের কোন সমস্যা হচ্ছে বা তাদের কোনও দাবি যেটা পূরণ হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে পদ্ধতিগতভাবে দাবি করছে। তাদের দাবিগুলো সুন্দরভাবে আদায় করা যায় সেই জন্য এ কেবিনেট নির্বাচন করা হচ্ছে। অনেক সময় তারা বুঝতে না পেরে আন্দোলনে চলে যায়। কর্তৃপক্ষ আছে কি নাই তারা সেটা না বুঝে অনেক সময় আন্দোলন শুরু করে দেয়। যার ফলে স্কুলে একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।