মরিয়ম চম্পা: বেহালার বাসিন্দা দুই সন্তানের মাকে বিয়ের প্রলোভনে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবককে আগাম জামিনের পর ধমক দিয়ে ভারতীয় বিচারপতি বলেন মাথায় রাখবেন, ‘নো মোর ফেসবুক, নো মোর চ্যাট,’ আর নয় ফেসবুক। গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এই পর্যবেক্ষকের ভুমিকা পালান করেন।
বেহালার পুলিশ জানায়, চল্লিষ বছর বয়সী এক মহিলা গত ১৭ ডিসেম্বর রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে প্রাথমিক তদন্তের পরে রায়গঞ্জ পুলিশ জানতে পারে, ওই যুবক বিবাহিত এবং তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে।
তদন্তে জানা যায়, অভিযোগকারী মহিলাও বিবাহিত এবং তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে। অভিযুক্ত যুবক জোর করে তাঁর গর্ভপাতও করিয়েছেন বলে জানায় অভিযোগ কারী নারী। পরবর্তীতে ওই যুবককে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্তে বলা হয়, বছর চারেক আগে ফেসবুকে রায়গঞ্জের ওই যুবকের সাথে তার আলাপ হয়। বহু বার ফেসবুকে তাঁরা চ্যাট করেন। হোয়াটসঅ্যাপেও মহিলা ও যুবকের মধ্যে কথাবার্তা হত। এর পরে রায়গঞ্জ ও বেহালায় একাধিক বার দু’জন একসঙ্গে কাটিয়েছেন।
যুবকের আইনজীবি জানায়, অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী দু’জনেই সাবালক। এই পরিস্থিতিতে ধর্ষণের অভিযোগ ধোপে টেকে না। অভিযুক্ত যুবক রাজনৈতিক দলের পদাধিকারী থাকায় ও দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেওয়ায় পুলিশ মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়েছে। এনডিটিভি