নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৩ শিক্ষার্থী। হামলার নিন্দা ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। এ ঘটনায় ট্রেজারার ডক্টর মো. কামাল উদ্দিনকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত রিপোর্ট জমা দানের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে সন্ধ্যা থেকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়েছে শতাধিক শিক্ষার্থী। আগামীকাল সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের হামলায় শিকার হয়ে ঢামেক জরুরি বিভাগে ভর্তি হয়। ঢাকা মেডিকেলের ভর্তি রেজিস্ট্রার বই এবং সিনিয়র নার্সিং অফিসার নিজাম উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবিতে সকাল থেকে আন্দোলনের পর ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান নেয়।
দুপুর ৩ টার দিকে হঠাৎ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে এই হামলা চালোনো হয়। এ সময় বিভিন্ন হল থেকে আসা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের টহল দিতে দেখা যায়।
তাদের হামলায় আহত হয় বহু শিক্ষার্থী। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, রড, লাঠিসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে উপাচার্য ভবনে অবস্থান নেওয়া নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালাচ্ছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় কারো কারো শরীর থেকে রক্ত ঝরতেও দেখা গেছে। অনেকে যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে হামলা থেকে বাঁচতে সাহায্য চাইতে দেখা যায়।
এদিকে এই ঘটনার পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবার হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের বিচার দাবি করে বলেন, আমরা চার পাঁচ দিন ধরে আন্দোলন ও বিক্ষোভ দেখে আসছি। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। বহিরাগত ও সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি স্যার অবরুদ্ধ ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের এক দফা এক দাবি, বাম সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে। হামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কোন হাত নেই। বরং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুই পক্ষকে শান্ত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। ছাত্রলীগের এই চেষ্টার কারণে অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আপনার মতামত লিখুন :