শাহরিয়ার কবির : বেগম খালেদা জিয়া দিল্লির সাথে যোগাযোগ করেছে, এটি বিচিত্র কিছু নয়। তিনি গত কয়েক বছর ধরে এমনটি চেষ্টা করছেন। তারা ভারতকে বোঝাতে চেষ্টা করছে, ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদ থাকবে। তারা ভবিষ্যতে উত্তর পূর্ব ভারতের কোনো সন্ত্রাসীকে এই দেশে থাকতে দিবে না। দুই দেশের বাণিজ্য বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। এই কথা গুলো বিএনপি দিল্লিকে বোঝানোর চেষ্টা করছে অনেক আগে থেকে। বিএনপি জানে যে, ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করে যে ভুল করেছিল, সেটি পূরণ হওয়ার নয়। জামায়াতের পাল্লায় পড়ে তারা ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
এখন তারা এটি বুঝতে পেরেছে, এই ভুল আর করা যাবে না। নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে গেলে তাদের পাকিস্তানের মতো ভারতের সাথেও ভালো সম্পার্ক তৈরি করতে হবে। এতে করে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম হবে। যেটি তাদের সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। খালেদা জিয়া এটি বিবেচনা করছেন না, দিল্লির কেউ এসে এখানে ভোট দিবে না। ভোট দিবে বাংলাদেশের মানুষ। বাংলাদেশের মানুষের কাছে তার যাওয়া দরকার। জনগণের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তাদের কাছে বলতে হবে কিভাবে, ১৯৭৫ সালের পর থেকে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
এটির জন্য জনগনের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে জিয়াউর রহমান সংবিধান থেকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলেছেন। বাংলাদেশের সংবিধানকে পাকিস্তানিকরণ করলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ব্যবস্থাকে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তারপর খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান ক্ষমতায় আসার পরে দেশের যে অবস্থা করেছিলেন, তা দেশের জনগণ ভুলে যায়নি। দেশটিকে দুর্নীতির আখড়া তৈরি করেছিলেন। যার জন্য আমরা টানা ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। এসমস্ত অপরাধের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তাহলে জনগণ তাকে ক্ষমা করবে বলে আমি মনে করি। তারপর জনগণ তাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু দিল্লির কাছে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। এটি বেগম খালেদা জিয়াকে চিন্তা করা উচিত।
পরিচিতি : সভাপতি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ