শিশির আলম,উল্লাপাড়া: ঘন কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহ শুধু জীব বৈচিত্র নয় এবার চলনবিলের উদ্ভিদ সহ ফসলী জমির উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে তাই এ অঞ্চলের ইরি-বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই অনেকেই পুরো জমি পলিথিনে আবদ্ধ করে ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করছেন।
উল্লাপাড়া উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের ভাটবেড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল করিম জানান, এবার ইরি-বোরো মৌসুমে ধান লাগাতে ৩৩ শতক জমিতে চারা বপন করেছেন কিন্তু ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে ২ শতক জমির ধানের চারার গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গেছে যা এখন তুলে ফেলে দিতে হবে।
কৃষক আব্দুল করিম এর মতো অনেকেই বলেছেন, এই লোকসান উসুল করতে উৎপাদিত ধানের উপর গড়ে দাম ফেলে বিক্রি করতে হবে নইলে সারা বছর না খেয়ে থাকতে হবে।
তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ধানে চারা কোল্ড ইনজুরির কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে সন্ধা থেকে ভোর পর্যন্ত পুরো জমি পলিথিনে অাবদ্ধ করে রাখছে স্থানীয় কৃষকরা।
এসকল বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করা হলে রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল মন্ডল বলেন, রাতে ধানের চারায় পানি সেচ ও পলিথিনে আবদ্ধ রাখতে হবে এবং দিনের বেলাল পানি গুলো বের করে দিতে হবে।এতে ধান চারার গুণাগুণ বজায় থাকবে।
উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জ,পাবনা ও নাটোর জেলার মাঝখানে প্রায় ৭ টি উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত চলনবিল। এই বিলে বর্ষাকালে দেশীয় মাছ, আর রবি মৌসুমে বিভিন্ন ফসলের আবাদ হয় যা স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর দেশের জাতীয় খাদ্য শষ্য ভান্ডারে গিয়ে যোগ হয় তাই এই অপার সম্ভাবনাময়ী চলনবিলকে ঘিরেই রয়েছে অর্ধশতাধিক বরফ কল ও মাছের আড়ৎ সহ শতাধিক ধানের চাতাল।সম্পাদনা: উমর ফারুক রকি