আবু আহমেদ : নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা যখন দাবি করলেন, সেটা যেমন প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়েছিলেন, এবারের মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবিও প্রধানমন্ত্রীকে মেনে নিতে হবে। কারণ, ওরাও শিক্ষক এরাও শিক্ষক। এখন কথা হচ্ছে, এত বার দাবি মেনে নেওয়ায় আমাদের অর্থনীতির উপর কি পরিমাণ চাপ সৃষ্টি হতে পারে? ট্যাক্সের টাকা নিয়ে এখানে দিলে চাপ পড়বে না। এক জায়গা থেকে টাকা নিয়ে আরেক জায়গায় দেওয়া হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে বেতন আর পরীক্ষার ফি নিয়ে শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর ওপর সব নির্ভর করছে।
প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন যে, শিক্ষকরা ছাত্রদের ভালো করে পড়াচ্ছেন। যেহেতু ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যৎ, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদেরকে বেতন দেবেন না কেন? শিক্ষককে বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষকতা করা একটি নোবেল পেশা। তাহলে শিক্ষকরা মানবেতর জীবন যাপন করবেন কেন? এদেরকেও প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিতে পারেন। যদি মনে করেন, তারা ভালো কাজ করছে। সরকারি কারিকুলাম মেনে পড়ায় না অনেক মাদ্রাসা। এই জাতীয়করণ করা হলে তাদেরকে সরকারি বিধি মোতাবেকই পড়াতে হবে।
পরিচিতি : অর্থনীতিবিদ
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :