শিরোনাম
◈ গণভোট আগে না হলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না: তাহের ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শেষ, রায়ের দিন ধার্য হবে কাল ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরলে সংসদের ক্ষমতাকে খর্ব করবে কিনা, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির ◈ সচল ১৬ স্থলবন্দরে ১ কোটি ৫২ লাখ টন পণ্য আমদানি, ৮ বন্দর নিষ্ক্রিয় ◈ ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ে বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট ◈ ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে উৎসবমুখর, জার্মান রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ◈ ১২ নির্দেশনা মানতে হবে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে  ◈ সরকারের দলীয় উপদেষ্টা ও প্রশাসনের ব্যক্তিদের বদলাতে হবে: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ◈ এএফ‌সি কা‌পের বাছাই‌য়ে ভারতের বিরু‌দ্ধে খেলার আ‌গে আফগানিস্তানের স‌ঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ◈ ট্রফির দরকার হ‌লে পু‌রো দল দুবাই এসে নিয়ে যাও, ভারতের মেইলের জবাবে এ‌সি‌সি প্রধান মহ‌সিন নাকভি

প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৪:১৮ সকাল
আপডেট : ১৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৪:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আসামে বাঙালি খেদাও আন্দোলন

রবিউল আলম : পৃথিবী এগিয়ে চলছে, আমরা কোথায়? বাঙালি, বাঙালি ভাষা-ভাষীরা বারবার আলোচিত, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে, থাকছে এবং বাঙালি নিয়ে আলোচনার যেন আর শেষ হচ্ছে না। ভাষার জন্য বাঙালি জীবন দিতে পারে, পারে স্বাধীনতার জন্য এবং বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের পুরোধারে ছিল বাঙালি। পাকিস্তানিদের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছে বাঙালি। খুদিরাম, সুনীষ বোষ, সূর্য সেন থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি। বাঙালির চাহিদা রয়েছে সারা বিশ্বে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। নিজ গুনে বাঙালি তার ঐতিহ্য, স্বকীয়তা ও অবস্থান সৃষ্টি করে নিয়েছে। বাঙালি ছাড়া বিশ্ব অচল মনে হয়। জাতিসংঘে বাঙালি সৈনিক সাফল্যের সাথে বিশ্ব শান্তির ভূমিকা পালন করছে। ইচ্ছে করলেই বিশ্ব আজ বাঙালিকে অস্বীকার করতে পারছে না। পারবে না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের চমক অস্বীকার করতে। বাঙালি খেদাও আন্দোলনের আসাম যে অগ্নি খেলায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

সেই আগুন কোথায় গিয়ে থামবে তা অনুমান করা কঠিন। বাঙালির ইতিহাস একটু পেছনের দিকে তাকাতে হবে। বাঙালি বিশ্ব উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখছে। কিভাবে রাখছে। বারবার বাঙালিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ব্যবহার করেছে উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে। বাঙালির আদিযুগ নিয়ে আলোচনা করলে লেখার শেষ হবে না। মূল কথা, আসামে বাঙালি খেদাও আন্দোলন বলি, আর বাঙালিকে নিয়ে রাজনীতি বলি, আজ সেই বিষয় নিয়েই আলোচনায় থাকতে চাই। আমার জন্মস্থান আসামের নওগাঁ মালর গ্রামে। ইতোপূর্বে লিখেছিলাম ১৯৩৫ সালে আসাম রাজ্যে অবস্থান নেন, সেই সময় হাজার হাজার বাঙালি আরাকান বর্তমান মায়ানমার, বৃটেনসহ ইউরোপের অনেক দেশে বাঙালি নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।

এখনো বিশ্বে ৪০ থেকে ৫০ কোটি বাঙালি অবস্থান করছে। যেখানেই বাঙালি অবস্থান নিয়েছে, সেই দেশের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করেছে। বাঙালি কখনো বসে বসে খায় না। বাঙালির কর্মদক্ষতা দিয়ে পৃথিবী পরিবর্তনের সাথে ভারতের আসাম রাজ্যও পরিবর্তন করেছে। ভারতে অনেক রাজ্য আছে। বাঙালি অধ্যুষিত পশ্চিমবঙ্গ, মিজু, ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের চালিকাশক্তি। ২০১৬ সালে আসাম গিয়েছিলাম। গোহাট্টি থেকে নওগাঁ হয়ে লক্ষণপুর পর্যন্ত ৬৫০ কিলোমিটার কাজিরংগা, হুজাই হয়ে ৫৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঘুরে দেখা। সেখানকার হাটবাজারে, বড় বড় বিপনী বিতানে শতকরা ৯০ শতাংশ বাঙালির অবস্থান।
লেখক : ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়