জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া : সহকারী শিক্ষক সংকট নিরসনে আগামী তিন মাসের মধ্যে সারাদেশে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। ইতোমধ্যে, শিক্ষক নিয়োগের সকল কাজও শুরু হয়েছে।
বর্তমানে পুল-প্যানেল শিক্ষকদের নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হওয়ায় নতুনভাবে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ডিপিইতে একটি সভা হয়েছে। সেই সভায় ২০১৪ সালের নিয়োগ কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ডিপিই’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. রমজান আলী বলেন, ২০১০ সালের স্থাগিত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ কার্যক্রম শেষ করা হবে। চলতি সপ্তাহে সভা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষক সংকট দূরীকরণে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা পুল-প্যানেল শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করেছি। বয়স উত্তীর্ণ হওয়ায় ৭ জন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছি। ফলে এখন নতুন করে শিক্ষক নিয়োগে আর কোনো জটিলতা নেই। কারণ সারাদেশের প্রাথমিক স্কুলগুলোতে সহকারী শিক্ষক সংকট রয়েছে। এ কারণে স্থগিত নিয়োগ কার্যক্রম শেষে শূন্য আসনগুলোতে নতুন করে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে আবেদন প্রক্রিয়া, সেখানে ১০ হাজার আসনে প্রায় ১২ লাখ আবেদন জমা পড়ে। পরে মামলা জটিলতায় এ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।
এরপর পুল ও প্যানেলের সকল শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ৩০ মার্চের মধ্যে এসব শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ নির্দেশনার ভিত্তিতে দেশের সব জেলা থেকে শূন্য আসনের তালিকা সংগ্রহ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে প্রাথমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তর।
সূত্র : আরটিভি