জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া: মুক্তিযোদ্ধা স্বামী মারা যাওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা ভাতাই ছিলো স্ত্রী আয়েশা বেগম। অথচ মাকে মৃত দেখিয়ে প্রতিমাসের সেই ভাতা তুলে নেয় মেয়ে ও পুত্রবধূ। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার। সূত্র- ডিবিসি নিউজ
মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম মারা যান ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে। এরপর জহিরুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা বেগমকে মৃত দেখিয়ে তার মেয়ে সাবিনা আক্তার এবং পুত্রবধূ লায়লা বেগম ৬ মাসের ভাতা তুলে নেয়।
আয়েশা বেগম বলেন, আমি যখন টাকা তুলতে অফিসে যাই তখন তারা বলে আপনি না মারা গেছেন- আপনার মেয়ে ও পুত্রবধূ জহিরুল ইসলামের ৬ মাসের ভাতা তুলে নিয়ে গেছে। আয়েশা বেগম বলেন, আমি অনেক অসুস্থ। কোমরে বেল্ট ছাড়া আমি চলাফেরা করতে পারি না। আর টাকা অভাবে আমি ডাক্তারও দেখাতে পারছি না।
এ বিষয়ে জহিরুল ইসলামের ছেলে বলেন, অফিসে গেলে তারা বলে আপনার মায়ের মৃত সার্টিফিকেট দেখিয়ে আপনার বোন ও ভাবি টাকা তুলে নিয়ে গেছে।
এদিকে টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে অসুস্থ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে বৃদ্ধা আয়েশা বেগম।
জহিরুল ইসলামের মেয়ে সাবিনা আক্তার বলেন, বাবার মৃত্যুর পরে আমি দুইবার টাকা উঠিয়েছি। আর সেটা বাবার অসুস্থার কারণে এবং বাকি টাকা বাবার ঋণ পরিশোধ করেছি।
মেয়ের টাকা ওঠানো নিয়ে অনেক যুক্তি দেখালেও তার পুত্রবধূকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জালিয়াতির কথা স্বীকার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সমাজসেবা অফিসার সুরভী আফরোজ বলেন, ২জন এসেছিলো তাদের মধ্যে একজন ছিল জহিরুল ইসলামের মেয়ে এবং আর অন্যজন পুত্রবধূ। তারা এসে জানায়, তাদের মা মারা গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জেড এম মিজানুর রহমান খান বলেন, আমরা যখন জানতে পেরেছি জহিরুল ইসলামের মেয়ে এবং পুত্রবধূ লুকিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছে তখন অ্যাকাউন্টটি জহিরুল ইসলামের স্ত্রীর নামে বই করে দেই এবং বিগত ৩ মাসের বকেয়া ভাতা ও বোনাসসহ সমস্ত টাকা তার স্ত্রীর হাতে তুলে দেই।