আক্তারুজ্জামান: স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের সাথে কারোরই তুলনা চলে না। কারণ তার তুলনা তো শুধুই তিনি। কিন্তু এই অজি গ্রেটকে ছোঁয়ার খুব কাছাকাছি চলে এসেছেন তারই স্বদেশী ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ। চলতি অ্যাশেজ সিরিজ জয়ের ম্যাচে দারুন ব্যাটিং করেছেন স্মিথ। আর এরই মাধ্যমে টেস্ট ব্যাটসম্যানদের তালিকায় সর্বোচ্চ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে রয়েছেন শীর্ষে। পার্থে ম্যাচ জেতানো ডাবল সেঞ্চুরির পর আইসিসির র্যাংকিংয়ে তার বর্তমান রেটিং পয়েন্ট ৯৪৫। যা স্যার ব্র্যাডম্যানের থেকে মাত্র ১৬ পয়েন্ট দূরে।
আইসিসি র্যাংকিংয়ে এ যাবতকালে সর্বোচ্চ পয়েন্টের মালিক ব্র্যাডম্যান। তার সংগ্রহ ছিল ৯৬১ পয়েন্ট। আর পার্থ টেস্টে ২৩৯ রানের পারফরম্যান্সের পর স্মিথ পেছনে ফেলেছেন পিটার মে, রিকি পন্টিং ও জ্যাক হবসের রেটিংকে। তাতেই যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন স্মিথ।
দুই ম্যাচ হাতে রেখেই অ্যাশেজ জেতার পর স্মিথ এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ টেস্ট রেটিং সংগ্রহের তালিকায় রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম টেস্টের পর স্মিথ সংগ্রহ করেছিলেন ৯৪১ পয়েন্ট। যদিও ব্রিসবেন টেস্টে পয়েন্ট খুঁইয়ে সংগ্রহ করেছিলেন ৯৩৮। এরপর পার্থে ঝলমলে এক পারফরম্যান্সের পর অর্জন করেন ৭ পয়েন্ট। যার মাধ্যমে সর্বকালের সেরা ব্র্যাডম্যানের পাশে বসতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন স্মিথ।
সর্বকালের সেরা টেস্ট রেটিং পাওয়া ব্যাটসম্যানদের তালকিা হলো- অস্ট্রেলিয়ার স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। ১৯৪৮ সালে তার রেটিং পয়েন্ট ছিল ৯৬১। এরপরই আসবে তারই স্বদেশী স্টিভেন স্মিথ। এ বছরে তার রেটিং পয়েন্ট ৯৪৫। স্মিথের সমান রেটিং নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছেন ইংল্যান্ডের স্যার বেন হাটন। ১৯৫৪ সালে তিনি এই রেটিং সংগ্রহ করেন।
তৃতীয় স্থানেও যৌথভাবে আছেন ইংল্যান্ডের জ্যাক হবস ও অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং। ১৯১২ সালে হবস টেস্ট ব্যাটিংয়ে ৯৪২ রেটিং পয়েন্ট তোলেন। আর ২০০৬ সালে পন্টিং দুরন্ত খেলে সমান সংখ্যক রেটিং সংগ্রহ করেন।
ইংল্যান্ডের পিটার মে আছেন তালিকার চতুর্থ নাম্বারে। ১৯৫৬ সালে সাবেক এ ইংলশি ব্যাটসম্যান ৯৪১ পয়ন্টে তুলতে সক্ষম হন। ওয়স্টে ইন্ডজিরে স্যার ক্লাইভ লয়ডে ও তারই স্বদশেী স্যার ভভি রচর্িাডস একইসাথে পঞ্চম স্থানে আছনে। দুজনরেই রটেংি পয়ন্টে ৯৩৮। ক্লাইভ লয়ডে এটা করনে ১৯৫৫ সালে এবং স্যার ভিভ রিচার্ডস করনে ১৯৮১ সাল।
আপনার মতামত লিখুন :