শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর, ২০১৭, ০৪:৫৩ সকাল
আপডেট : ১২ নভেম্বর, ২০১৭, ০৪:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেজর গণি ও ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট

মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভূঁঞা : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মার রণাঙ্গনে মেজর আবদুল গণি অসম সাহসিকতা ও সমরকৌশল এবং তার অধীনে যুদ্ধরত বাঙালি সৈন্যদের বীরত্ব ও শৌর্যবীর্যের কারণে তিনি বাঙালিদের জন্য পৃথক একটি রেজিমেন্ট গঠনের চিন্তা করেন। তিনি পর্যবেক্ষণ করেন, ব্রিটিশ-ভারতীয় বাহিনীতে বিভিন্ন প্রাদেশিক, জাতিগত রেজিমেন্ট রয়েছে কিন্তু কোনো বাঙালি রেজিমেন্ট নেই। পৃথক বাঙালি রেজিমেন্ট গঠনের দৃঢ়মূল চিন্তায় আবদুল গণির সঙ্গে ১৯৪৭ সালের পর নিজ বাসভবনে দীর্ঘ এক বৈঠকে সহমত পোষণ করেন পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। তিনদিকে ভারত বেষ্টিত পূর্ব বাংলার প্রতিরক্ষায় বেলুচ-পাঠান-পাঞ্জাবি সৈন্যের বদলে বাঙালির নিজস্ব রেজিমেন্ট এবং বিরোধী দলীয় রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা ভারত বিভক্তির পর পূর্ব বাঙলার জীবনে তীব্রভাবে অনুভূত হয়। শামসুল হক রাজনীতিতে সে সময়ে সক্রিয় থেকে কর্মী দল তৈরি করেন এবং সামরিক বিষয়ে বাহিনী গঠনের জন্য আবদুল গণিকে পরামর্শ দেন। বাঙালি জাতি সামরিক ও রাজনৈতিক উভয় ক্ষেত্রে নিজেকে প্রশিক্ষিত করতে উদ্যোগী হন।
জেনারেল স্যার মেজারভী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অধিনায়ক নিযুক্ত হলে মেজর আবদুল গণি জেনারেলকে অভিনন্দন জানানোর সময় বাঙালি মুসলমানদের নিয়ে একটি বাহিনী গঠনের আশা ব্যক্ত করেন। এরপর মেজর আবদুল গণি তার অধীন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী দুটি বাঙালি মুসলিম পাইওনিয়ার ইউনিট ১২৫৬ এবং ১৪০৭ কোম্পানিকে পুনর্গঠন করেন, যা মূলত আজকের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের গোড়া পত্তন করে। ঝালনাস্থ ভারতীয় কোর সেন্টারের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মরিয়ারটির উৎসাহ ও প্রেরণায় মেজর আবদুল গণি বিচক্ষণতার সঙ্গে পদাতিক বাহিনীর মূল অংশ গড়ে তুলতে বাঙালি জোয়ান বাছাই করতে ঢাকায় কুর্মিটোলায় কাজের সূচনা করেন। ১৯৪৭ সালে সেপ্টেম্বর হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে মেজর আবদুল গণি রেজিমেন্ট গঠনের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করেন। ১৯৪৮ সালের জানুয়ারি মাসে লেফটেন্যান্ট কর্নেল ভিজেই প্যাটারসন ঢাকায় বদলি হয়ে আসেন। ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মেজর আবদুল গণির অক্লান্ত ও অদম্য প্রয়াসে অধিনায়কত্বে লে. কর্নেল ভিজেই প্যাটারসন আনুষ্ঠানিকভাবে কুর্মিটোলার দারোগা বাগিচায়, বর্তমান সিএমএইচর পশ্চিমে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়নের প্রতিষ্ঠা ষোষণা করেন। মেজর আবদুল গণির প্রচেষ্টায় প্রায় পাঁচ মাসের মধ্যে ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জন্ম হয়। মেজর আবদুল গণি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের রিক্রুটিং অফিসারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং সমগ্র বাংলাদেশ ঘুরে বেঙ্গল রেজিমেন্টের জন্য জোয়ান সংগ্রহে কঠোর পরিশ্রম করেন।
লেখক : মহাসচিব, মেজর গণি পরিষদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়