শিরোনাম
◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে  প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন  ◈ পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফে'র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত ◈  কমবে তাপমাত্রা, মে মাসেই কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভারত, চীন বা রাশিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত নয়: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর, ২০১৭, ০৪:৩১ সকাল
আপডেট : ১২ নভেম্বর, ২০১৭, ০৪:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতির জোরদার আহ্বান থাকবে

খন্দকার আলমগীর হোসাইন : বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন চিকিৎসার জন্য বিদেশে ছিলেন। দেশে এসে জামিন নিয়েছেন। এরপর তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সমস্যা রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিয়ে সর্বশেষ অবস্থা দেখে এলেন। এখন উনাকে বিচারের যে মুখোমুখি করা হলো, সে বিষয়গুলা নিয়ে এখন প্রতিনিয়ত আদালতে যেতে হচ্ছে। সমাবেশে আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতির জোরদারের আহ্বান থাকবে বলে দৈনিক আমাদের অর্থনীতিকে জানান দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
তিনি বলেন, নেতাকর্মী ও দেশবাসীর চাহিদা হলো তিনি কিছু বলুক। দেশের সর্বশেষ রাজনীতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি কথা বলবেন। সে প্রত্যাশা পূরণের জন্যই এই সমাবেশ। এটা হবে সর্বকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে। ঢাকা এবং ঢাকার আশপাশ থেকে নেতাকর্মীরা দলে দলে আসবে যোগ দিতে সমাবেশে।
তিনি আরো বলেন, বহুদিন পর এই সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন ২৩টি শর্ত দিয়ে। যখনই আমাদের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে, তখনই প্রশাসন এ শর্তগুলোও দিয়েছে। এ শর্তগুলোর প্রয়োজন পড়ে না, কারণ আমাদের সভা আমরা নিজের স্বার্থে শৃঙ্খলার সাথে সম্পন্ন করবো। সে আস্তা ও বিশ্বাস আমাদের আছে। এক দিকে প্রশাসন সভা করার অনুমতি দিয়েছে, অন্য দিকে দু-তিন দিন ধরে ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাতের বেলায় অভিযান চালিয়ে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নানান কৌশলে পরিবহন ব্যবসায়ীদের বাস ভাড়া দিতে বাধা সৃষ্টি করছে। যেহেতু পরিবহন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকারী দুজনই এ সরকারের মন্ত্রী শাজাহান খান এবং মশিউর রহমান রাঙ্গা। স্থানীয়ভাবেও বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়ন দিয়ে ধর্মঘট ডেকে বাস বন্ধ করা হচ্ছে যাতে লোক সমাগম কম হয়। একদিকে ভীতি সৃষ্টি করছে, আরেক দিকে কৌশলে বাধা সৃষ্টি করছে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের বুঝা উচিত অত্যাচার করে, বাধা সৃষ্টি করে, জোর করে মুখ বন্ধ করার কৌশল ক্ষণস্থায়ী। দেশের মানুষের মুখ আপাতত বন্ধ হতে পারে, মানুষের হৃদয়ের মধ্যে যে ক্ষোভ-যন্ত্রণা আছে এর বহিঃপ্রকাশ যখন ঘটবে, তখন কিন্তু কোনো নিয়মকানুন, বাধা ও শর্ত কোনো কিছুই কার্যকর হবে না। সেটা মনে রাখলে ভালো, কারণ আওয়ামী লীগ একটা বড় দল, পুরনো দল। তাদের অনেক দিনের অভিজ্ঞতা। তারা নিজেরাও দেখেছে, বাধা দিয়ে অত্যাচার করে শেষ পর্যন্ত মুক্ত গণতন্ত্রের পথকে বন্ধ করা যায় না। সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা এ ধরনে শর্তের রাজনীতি থেকে বিরত থাকা উচিত। জনসভাকে কোনো রকম উসকানি না দিয়ে বরং সহযোগিতা করলে সেটা গণতন্ত্রের জন্য কল্যাণ কর হবে।
দেশনেত্রীর বক্তব্যে দেশের সামগ্রিক বিষয় থাকবে। রোহিঙ্গা, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কুকর্মের বিষয়গুলো থাকবে বেগম জিয়ার বক্তব্যে। সাধারণ একজন ইউনিয়ন পর্যায়ের সেক্রেটারি ছয়জন নারীকে ধর্ষক করে ভিডি করে নেটে ছেয়ে দিয়েছে। শাসক দলে লোদকের দ্বারা যেসব সামাজিক অনাচার হচ্ছে, এসব থেকে জনগণকে সচেতন করা, প্রতিবাদী হতে উৎবুদ্ধ করার বিষয় থাকবে বক্তব্যে। প্রধান বিচারপতিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে, এমনটাই আমরা জানতে পারছি। রাষ্ট্রের এই সর্বোচ্চ স্তম্ভ স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। সামনে ৬টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এটা হবে এই নির্বাচন কমিশনের জন্য এসিড টেস্ট। এসব বিষয় থাকবে দেশনেত্রীর ভাষণে। আগামী জাতীয় নির্বাচন যাতে নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে হয়, সে দাবি দাওয়া থাকবে। আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতির জোরদার আহ্বান থাকবে।
সম্পদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়