পরিষদের কয়েকজন উপদেষ্টা সহ জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারী কয়েকজন নেতা। এমন দাবিতে সয়লাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার নামে খোলা বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকে করা হচ্ছে এমন পোস্ট। গোপনে কিছু উপদেষ্টা শেখ হাসিনার কাছে ফোন করে কান্নাকাটি করছেন। ক্ষমা চাচ্ছেন জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী বেশ কিছু নেতাও। বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকে এমন দাবিতে করা হচ্ছে বিভিন্ন পোস্ট। অনুসন্ধান করে দেখা যায় পেজগুলো মূলত বিভিন্ন আওয়ামী নেতা এবং অ্যাক্টিভিস্টদের নামে খোলা ফেক পেজ। এর মধ্যে রয়েছে জাফর ইকবাল, সেলিনা আইভি, শেখ হাসিনা, যুবলীগ সহ বিভিন্ন নামের পেজ। একই পোস্ট করেন লন্ডন প্রবাসী আওয়ামী অ্যাক্টিভিস্ট সুশান্ত গুপ্ত। সূত্র: এটিএননিউজ
পোস্টে তিনি লেখেন ইউনুস সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা এখন পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে যোগাযোগ করে ক্ষমা চেয়েছেন এবং এদেরকে সেফ এক্সিট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। সময় ঘনিয়ে আসছে। এদিকে এমন দাবিকে সত্য ভেবে নিয়েছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী সমর্থকরা। বুক ভরা আশা নিয়ে কমেন্টে কেউ আদায় করছেন শুকরিয়া। কেউ বলছেন ইনশাআল্লাহ আবার কেউ দিচ্ছেন হুমকিও।
যে শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এসব পোস্ট মূলত আওয়ামী গুজবের অংশ। ৫ আগস্টের পর থেকে এরকম অসংখ্য গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে দলটির নেতাকর্মীরা। কখনো যেকোনো সময় ঢুকে পড়বেন শেখ হাসিনা। কখনো সেন্ট মার্টিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে ডক্টর ইউনুস। আবার কখনো যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যৌথ মহরাকে অভিন্নভাবে উপস্থাপন। এদিকে নতুন করে ছড়ানোই গুজবকে মজার ছলে নিয়েছেন অনেকেই।
প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আহারে ফোন নাম্বারটা নাই বলে।অক্টিভিস্ট অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক ফাহম আব্দুস সালাম লিখেছেন বিষয়টা চিন্তা করার যে পালিয়েছে নিজের চেহারা দেখাতে পারে না মোদির দয়ায় একটা অ্যাপার্টমেন্টে জীবন যাপন করছে তার কাছে নাকি কারেন্ট উপদেষ্টারা সেফ এক্সিট চাচ্ছে এরপর কিছু হাসির ইমোজি যুক্ত করেন ফাহাম। মূলত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের অপরাধে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল।
নিষিদ্ধ হয়েছে ভাতপ্রিদম সংগঠন ছাত্রলীগও। দলের শীর্ষ নেতার অনেকেই এখন কারাগারে যারা বাইরে সবাই দেশ ছেড়ে পলাতক এবং অধিকাংশের বিরুদ্ধে ট্রাইবুনালে বিচার চলমান এবং সর্বশেষ অভিযুক্ত এ সকল নেতাদের কেউই দেশের কোন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের অ্যাক্ট ১৯৭৩ এ সংশোধনী এসেছে এমন অবস্থায় আওয়ামী লীগের দেশের রাজনীতিতে ফেরা কঠিন থেকে কঠিনতার হবে বলে মনে করা হয় |