মুসবা তিন্নি: [২] স্লোভাকিয়ায় প্রাচীন একটি গ্রাম সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। গবেষণায় দেখা যায়, গ্রামটি গড়ে ওঠে প্রস্তর যুগের শেষ দিকে। এই গ্রাম দেখলে মনে হয়, ঘরবাড়িগুলি যেন ঘুরছে। সূত্র: আনন্দবাজার
[২] রহস্যে ঘেরা এই গ্রামের নাম ভ্রাবেল। ইউরোপ মহাদেশের মধ্যভাগে অবস্থিত স্লোভাকিয়া দেশের ছোট্ট শহর ভ্রাবেল। তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে সুদূর অতীতের প্রস্তর যুগের এক রহস্য।
[৩] প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, গ্রামটি গড়ে উঠেছিল প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে। প্রস্তর যুগের মানুষের প্রাথমিক বাসস্থান ছিল নদীর ধার, বনজঙ্গল কিংবা পাহাড়ের গুহা। কিন্তু স্লোভাকিয়ার এই গ্রামটির একটি বিশেষত্ব রয়েছে। প্রাচীন এই গ্রামটি দেখে প্রত্নতত্ত্ববিদেরাও বিস্মিত হয়েছিলেন। কারণ গ্রামটি ‘ঘূর্ণায়মান’। খালি চোখে দেখেলে মনে হবে গ্রামের আকৃতি, ঘরবাড়িগুলি ঘড়ির কাটার মতো ঘুরছে। সরে যাচ্ছে আগের অবস্থান থেকে অন্য অবস্থানে।
[৪] দীর্ঘদিন গবেষণার পর গবেষকেরা লক্ষ্য করেন, গ্রামের বাড়িগুলির মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রতিটি বাড়িই একটু করে বাঁ দিকে ঘেঁষা। প্রতিটি বাড়ির গড়নও একরকম। নতুনত্ব নেই। প্রথম বাড়ির পর দ্বিতীয় যে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে সেটি আগেরটার সঙ্গে সমান্তরাল নয় একটু বাঁ দিক ঘেঁষে তৈরি করা প্রতিটি বাড়িই এভাবে বাঁ দিক ঘেষে বাঁকিয়ে নির্মাণ করা । গবেষণায় আরো উঠে আসে যে বাড়িগুলো একসঙ্গে তৈরি করা হয়নি। প্রতিটি বাড়ির নির্মাণের মাঝে ছিল আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ বছরের ব্যবধান। গোটা গ্রামটি গড়ে উঠতে প্রায় ৩০০ বছর সময় লেগেছিল বলে মনে করেন গবেষকরা। প্রতিটি বাড়িই এমন বাঁ দিক ঘেঁষে তৈরির কারণেই গ্রামটিকে দূর থেকে দেখলে তা ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ‘ঘূর্ণায়মান’ বলে মনে হয়। সম্পাদনা: ইকবাল খান