শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল ২ জনের ◈ ক্ষণজন্মা নক্ষত্র সালমান শাহ: প্রয়াণের ২৯ বছরেও অম্লান স্মৃতিতে, জনপ্রিয়তায় এখনও সবাইকে ছাড়িয়ে ◈ মালয়েশিয়া ভ্রমণকারীদের জন্য নতুন নিয়ম ◈ লক্ষ্মীপুরে যাত্রীবাহী বাস খালে পড়ে নিহত ২ ◈ নুরাল পাগলার কবরকেন্দ্রিক সংঘর্ষ: পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরে ৩,৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ◈ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন? ◈ এবার গণঅধিকার পরিষদকে নিষিদ্ধ করার দাবি জাতীয় পার্টির মহাসচিবের ◈ কক্সবাজা‌রের নাফ নদীতে আরাকান আর্মির তৎপরতা, জেলে নিখোঁজ, কী হচ্ছে সেখানে? ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন: এক বছরে মন্দা থেকে শীর্ষে বাংলাদেশ ◈ শনিবার সাধারণ ছুটি : কারা পাবেন, কারা পাবেন না

প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৮ দুপুর
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাঁদ রূপ বদলে হয়ে উঠবে লাল, দেখা যাবে রোববার, লাল হয় যে কারণে!

বাংলাদেশের আকাশে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রোববার রাত ৯টা ২৮ মিনিটে।

এনডিটিভি ও লাইভ সায়েন্স: প্রকৃতি আবার সাজিয়েছে এক মায়াবী আয়োজন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাতে আবারও ফিরে আসছে ‘ব্লাড মুন’। অর্থাৎ, চাঁদ রূপ বদলে হয়ে উঠবে লাল। এই রক্তিম আভা রাতের আকাশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। আর বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ দেখতে পাবে এই দুর্লভ চন্দ্রগ্রহণ।

এই চন্দ্রগ্রহণ চলবে প্রায় ৮২ মিনিট, যা সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম দীর্ঘতম গ্রহণ বলে জানিয়েছে মহাকাশবিষয়ক ওয়েবসাইট স্পেস ডটকম।

এই গ্রহণ এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে দেখা যাবে। বিশ্বের প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষই এবারের চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পারবে। বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে এই মহাজাগতিক ঘটনা।

বাংলাদেশের আকাশে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রোববার রাত ৯টা ২৮ মিনিটে। সে সময় চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবীর ছায়ায় প্রবেশ করতে থাকবে। চাঁদের পুরোপুরি লালচে রূপ, অর্থাৎ ‘ব্লাড মুন’ দেখা যাবে রাত ১১টা ৩০ মিনিট থেকে সোমবার ১২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। এরপর, রাত ২টা ৫৫ মিনিটে চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়া থেকে বেরিয়ে আসবে, শেষ হবে গ্রহণের এই মহাজাগতিক দৃশ্য।

চন্দ্রগ্রহণ দেখতে চোখের কোনো সুরক্ষা প্রয়োজন হয় না। এটি খালি চোখেই নিরাপদে দেখা যায়, যা সূর্যগ্রহণের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।

কীভাবে হয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ঘটে তখন, যখন পৃথিবী সরাসরি সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে চলে আসে এবং চাঁদ সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যায়।

এ সময় চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার সবচেয়ে গাঢ় অংশ, অর্থাৎ ‘আমব্রা’র মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। গ্রহণের শুরু ও শেষে চাঁদ পৃথিবীর হালকা ছায়া ‘পেনামব্রা’য় থাকায় কিছুটা ম্লান দেখায়।

চাঁদ লাল হয় কেন

চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের যে লালচে আভা দেখা যায়, তা ঘটে ‘রে লি স্ক্যাটারিং’ নামের এক বৈজ্ঞানিক কারণে। ঠিক যেভাবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় আকাশ লালচে হয়ে ওঠে, একই প্রক্রিয়ায় চন্দ্রগ্রহণেও চাঁদ রক্তবর্ণ ধারণ করে।

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবী সরাসরি সূর্যালোক চাঁদের কাছে পৌঁছাতে বাধা দেয়। তবে কিছু সূর্যালোক পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল হয়ে চাঁদের দিকে পৌঁছায়। এ সময় বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করা আলোতে থাকা নীল ও বেগুনি তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি ছড়িয়ে পড়ে আর লাল ও কমলা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো অপেক্ষাকৃত কম ছড়িয়ে চাঁদের দিকে বেঁকে যায়। ফলস্বরূপ, চাঁদ একধরনের লালচে আভা ধারণ করে। এই বৈজ্ঞানিক ঘটনাটিই ‘ব্লাড মুন’ নামের উৎস।

নাসার মতে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণা, মেঘ বা আগ্নেয়গিরির ছাই থাকলে এই রক্তিম আভা আরও গাঢ় হয়। তখন চাঁদের রং আরও তীব্র লাল বা তামাটে দেখা যেতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়