শিরোনাম
◈ ইইউ বাজারে ১৭.৯% রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, বাংলাদেশের আয় ১০.২৯ বিলিয়ন ইউরো ◈ গণঅভ্যুত্থান, শোকবার্তা ও সমালোচনার মুখে শাকিব খান: দিলেন স্পষ্ট ব্যাখ্যা ◈ ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে লিখিত মতামত দিল বিএনপি ◈ চারদিনের সফরে ঢাকায় পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী ◈ ‘মওলানা ভাসানী সেতু’: বদলে যাবে গাইবান্ধা-কুড়িগ্রামের অর্থনীতি ও যোগাযোগ ◈ টানা বৃষ্টিতে হ্রদের পানি বিপদসীমায়, আবারো খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট ◈ ৫০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে প্রকাশ্যে গুলি, ভিডিও ভাইরাল ◈ সাদাপাথর লুটপাটে ১৩৭ জন জড়িত: তদন্ত প্রতিবেদন ◈ ছে‌লে‌দের স‌ঙ্গে খে‌লে হার‌লো মে‌য়েরা ◈ বাংলাদেশের অনুরোধে দিল্লির প্রতিক্রিয়া—‘ভারতের ভূমি অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয় না’

প্রকাশিত : ২১ আগস্ট, ২০২৫, ০১:৪৮ রাত
আপডেট : ২১ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মৃত্যুর পরও বিষ ছড়ায় যে কয়েক প্রজাতির সাপ, গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় আসামে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু প্রাণঘাতী সাপ মৃত্যুর পরও বিষ ছড়িয়ে দিতে সক্ষম; বিশেষ করে, মনোকল কোবরা ও কালো ক্রেইট বা কালকেউটে সাপ মৃত্যুর পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষের শরীরে বিষ ছড়িয়ে দিতে পারে। সম্প্রতি ‘ফ্রন্টেইনার্স ইন ট্রপিক্যাল ডিজিজ’ সাময়িকীতে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

এর আগে ধারণা করা হতো, মৃত্যুর পর বিষ ছড়ানোর ক্ষমতা কেবল কিছু নির্দিষ্ট প্রজাতির সাপের মধ্যে সীমিত। যেমন আমেরিকান র‍্যাটলস্ন্যাক, কপারহেড, এশীয় ও সাবসাহারার স্পিটিং কোবরা এবং অস্ট্রেলিয়ার রেড-বেলিড ব্ল্যাক স্ন্যাক। কিন্তু নতুন গবেষণা জানাচ্ছে, ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলে প্রচলিত কোবরা ও কালকেউটে একইভাবে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

আজ বুধবার (২০ আগস্ট) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এ গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন আসামের নামরূপ কলেজের বিজ্ঞানী সুস্মিতা ঠাকুর। তিনি ও তাঁর দল অন্তত তিনটি ঘটনার প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে দুটি ঘটনা মনোকল কোবরা ও একটি কালকেউটের সঙ্গে যুক্ত।

প্রথম ঘটনা, বাড়ির মুরগি বাঁচাতে এক ব্যক্তি একটি কোবরার শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। পরে যখন তিনি সাপটি ফেলে দিতে যান। তখন ওই কাটা মাথা তাঁর ডান হাতের বুড়ো আঙুলে ছোবল মারে। এর ফলে তাঁর হাতে প্রচণ্ড ব্যথা ও বমি শুরু হয়। কালো হয়ে যায় ক্ষতস্থানটি। চিকিৎসকেরা ছবি দেখে কোবরা হিসেবে সাপটি শনাক্ত করেন এবং দ্রুত অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করে তাঁকে বাঁচাতে সক্ষম হন। ২০ দিন চিকিৎসার পর রোগী সম্পূর্ণ সেরে ওঠেন।

দ্বিতীয় ঘটনা, এক কৃষক ধানখেতে ট্রাক্টরের চাপে একটি কোবরা মেরে ফেলেন। কাজ শেষে ট্রাক্টর থেকে নেমে আসার সময় সেই মৃত সাপের দাঁত তাঁর পায়ে বিঁধে যায়। এতে তাঁর শরীরে ফুলে যায় এবং প্রচণ্ড ব্যথার পাশাপাশি রং পরিবর্তনের মতো লক্ষণ দেখা দেয়। চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হলেও ক্ষতস্থানে আলসার তৈরি হয়েছে।

তৃতীয় ঘটনা, একটি কালকেউটে মেরে ফেলার পর বাড়ির আঙিনায় ফেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এক প্রতিবেশী মৃত সাপটি হাতে নেওয়ার সময় আঙুলে এটির দাঁত বসে যায় এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁর চোখের পাতা ঝুলে পড়ে ও গিলতে অসুবিধা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর জানা যায়, সাপটি অন্তত তিন ঘণ্টা আগে মারা গিয়েছিল। আর ছোবল খাওয়া ব্যক্তিকে অ্যান্টিভেনমের ২০টি ডোজ দেওয়ার পরও তাঁর অবস্থা সংকটজনক থাকে। টানা ৪৩ ঘণ্টা কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের সহায়তা দেওয়ার পর ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

গবেষকেরা ব্যাখ্যা করেছেন, সামনের দন্তযুক্ত সাপের বিষগ্রন্থি ও দাঁতের গঠন এমনভাবে তৈরি, মৃত্যুর পরও চাপ পড়লে এর বিষ বের হতে পারে; বিশেষ করে, কাটা মাথা কিংবা দেহে চাপ লাগলে দাঁত দিয়ে বিষ বের হয়ে আসতে পারে এবং জীবন্ত সাপের দংশনের মতোই বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

এ কারণে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কোনো কারণে যদি সাপকে মেরেও ফেলা হয়, তবে এর দেহ বা মাথা খালি হাতে নাড়াচাড়া করা উচিত নয়। মৃত সাপও জীবন্ত সাপের মতোই প্রাণঘাতী হতে পারে। সূত্র: আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়