নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রীলঙ্কা হাত খুলে খেলেছে। রানও পেয়েছে প্রচুর। শুরুর প্রথম চার ওভার বাংলাদেশের বোলাররা রান চেক দিলেও শেষ পর্যন্ত খেলায় ফিরে আসে শ্রীলঙ্কা।
আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার। তবে নিয়মিত বিরতিতে কয়েকটি উইকেট তুলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত পাথুম নিশাঙ্কা ও সিলভার ব্যাটিং নৈপুণ্যে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছে লঙ্কানরা।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভারতের গুয়াহাটির আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৯ দশমিক ১ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন নিশাঙ্কা, আর সিলভা করেন ৫৫ রান। অন্যদিকে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী।
এদিন শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানদের দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার নিসাঙ্কা ও পেরেরা। তবে ব্যক্তিগত ৩৪ রানে স্বেচ্ছায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন পেরেরা। এরপর দলীয় ১০৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় এশিয়া কাপের রানার্স-আপ দলটি।
নাসুমের স্পিন ফাঁদে ব্যক্তিগত ২২ রানে কাটা পড়েন মেন্ডিস। এদিন ক্রিজে থিতু হতে ব্যর্থ হন ইনফর্ম ব্যাটার সামারাবিক্রমাও। দুই অঙ্কের কোটা পেরোনোর আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। এরপর আসালাঙ্কা ও শানাকাকে ফেরান মেহেদী ও শরিফুল। দলীয় ১১৭ রানেই টপ-অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারায় লঙ্কানরা।
এরপর বাকি লড়াইটা চালিয়েছেন ধনঞ্জয়া সিলভা। সাবলীল ব্যাটিংয়ে দ্রুতই ফিফটি তুলে নেন তিনি। আরেকপ্রান্তে দিমুথ করুণারত্নেও তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি করুণারত্নে। দুর্দান্ত এক রান-আউটে ব্যক্তিগত ১৮ রানেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এরপর ফিফটি ছুঁয়ে ফেলা ধনঞ্জয়াও বেশি দূর আগাতে পারেননি। দলীয় ২২৯ রানের মাথায় ৭৯ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন তিনিও। এরপর লঙ্কানদের হয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন টেলএন্ডাররা। শেষ পর্যন্ত ৪৯ দশমিক ১ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে সক্ষম হয় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে ৩৬ রান খরচায় শেখ মেহেদীর শিকার ৩ উইকেট। এ ছাড়া নাসুম, শরিফুল, তানজিম ও মিরাজ একটি করে উইকেট পেয়েছেন। এদিন ৭ ওভার বোলিং করে উইকেট শূন্য থাকলেও বেশ মিতব্যয়ী ছিলেন তাসকিন আহমেদ।