নিজস্ব প্রতিবেদক: সেরা সাঁতারু গড়ার লক্ষ্যে দুর্দান্ত এক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশন, কর্তৃপক্ষ প্রতিটি জেলার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে সুধিাবঞ্চিত প্রতিভাবান সাঁতারু খুঁজে দীর্ঘ মেয়াদি প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের সাঁতারু হিসাবে গড়ে তুলবে, সেই লক্ষ্যে ট্যালেন্ট হান্ট শুরু হচ্ছে শনিবার ( ১০মে ) । সেরা সাঁতারুর খোঁজে নামের এই কর্মসূচি এর আগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালে। ৭ বছর পর আরেকটি কর্মসূচি হতে যাচ্ছে ফেডারেশনের নতুন কমিটির হাত ধরে। এ কর্মসূচি সফল করতে ফেডারেশন ৬ কোটি টাকার বাজেট নির্ধারণ করেছে।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মেধাবী সম্ভাবনাময় ও সুবিধাবঞ্চিত সাঁতারুদের খুঁজে বের করে তাদের দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ দেওয়ায় ফেডারেশনের উদ্দেশ্য এ কর্মসূচি শুরুর আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) অডিটরিয়ামে সাঁতার ফেডারেশন আয়োজন করে সংবাদ সম্মেলনের। সেখানে কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন। এ সময় ফেডারেশনের অর্থ সম্পাদক মেজর ( অব:) আতিকুর রহমান, পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংকের হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন সৈয়দ রায়হান তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক তারকা সাঁতারু নিবেদিতা দাসসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের ৬৪টি জেলার সাঁতারুদের নিয়ে ১৫টি ভেন্যুতে চলবে এই বাছাই কার্যক্রম। ১০ মে মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্স থেকে শুরু হবে এই কর্মসূচি। এ দিন বাছাই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বাছাই প্রক্রিয়া চলবে তিন ধাপে। সারা দেশ থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হবে ৬০০ সাঁতারু। এরপর ঢাকায় হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের বাছাই। ৬০০ থেকে সাঁতারু কমিয়ে আনা হবে ১০০ জনে। সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে চূড়ান্ত বাছাই করা হবে ৫০ জন সাঁতারুকে। চূড়ান্ত পর্যায়ের এই বাছাইকৃত সাঁতারুদের দুই বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বয়সভিত্তিক ‘ক’ গ্রুপে ৯-১১ বছর বয়সী সাঁতারুরা অংশ নেবে। ১২-১৫ বছর বয়সী সাঁতারুরা অংশ নেবে ‘খ’ গ্রুপে। ফ্রি স্টাইল ও নিজের পছন্দের কোনও ইভেন্টে সাঁতারে অংশ নিতে পারবেদ প্রতিযোগীরা।
প্রথম ধাপে প্রতিটি উপজেলা থেকে বাছাই করা হবে। এরপর জেলা পর্যায়ে নেওয়া হবে ৬০০ জনকে। দ্বিতীয় পর্বে ঢাকায় থাকবে ১০০ জন। এরপর সেখান থেকে যে ৫০ জন চূড়ান্তভাবে টিকে যাবে তাদের নিয়েই চলবে প্রশিক্ষণ। এসএ গেমসে সোনাজয়ী সাঁতারু শাহজাহান আলী রনি, মাহফুজা খাতুন শিলা, জুয়েল আহমেদসহ ফেডারেশনের কোচেরা এই বাছাই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান শাহীন বলেন, ‘আমরা ১০ মে থেকে ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রামটি শুরু করতে যাচ্ছি। প্রাইম ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায়, বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সহযোগিতায় ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রামকে এগিয়ে নিতে পারছি। আশা করি এই ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে আমাদের সাঁতারে যে ক্রাইসিস চলছে, সেই সময়টুকু থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পারবো।