তারিক আল বান্না: [২] এশিয়ান গেমস উদ্বোধন হয়েছে শনিবার। তবে আগেই শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নারী ক্রিকেট এখন শেষের পথে। চীনের হাংজু জিজিয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠে রোববার প্রথম সেমিফাইনালে সকাল ৭টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। একই ভেন্যুতে বেলা ১২টায় অপর সেমিফাইনালে খেলবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
[৩] বৃহস্পতিবার শেষ আটের বাধা টপকে ভারত ও পাকিস্তান সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে। শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা ডিঙিয়ে শেষ চারে উঠে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। একমাত্র শ্রীলঙ্কা ম্যাচ জিতে শেষচারে উঠেছে। তারা থাইল্যান্ডকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে। বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয় বাংলাদেশ ও হংকং, ভারত ও মালয়েশিয়া এবং পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার শেষআটের তিন ম্যাচ। গেমসের নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ব র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকায় নিজ নিজ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় পায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান।
[৪] বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলে একইভাবে র্যাংকিং সুবিধায় ফাইনালে উঠবে ভারত। আর বাংলাদেশকে ফাইনালে উঠতে হলে জিততেই হবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে ফাইনালে উঠবে পাকিস্তান।
[৫] উল্লেখ্য, ২০১০ ও ২০১৪ এশিয়ান গেমসে রৌপ্যপদক জিতেছিল বাংলাদেশ নারী দল। ২০১০ সালে গুয়াংজু এশিয়াডে পুরুষ বিভাগে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয় মাশরাফি বিন মোর্তুজার নেতৃত্বে। আর ২০১৪ সালে পুরুষ দল ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে।
[৬] এশিয়াডে বাংলাদেশ বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিলেও একমাত্র ক্রিকেটই দেশকে উপহার দিয়েছে স্বর্ণপদকটি। এবারও পদকের আশা করছে বাংলাদেশ।
[৭] নারী ক্রিকেটে মোট ৯টি দেশ অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ড সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পায়। গ্রুপ পর্ব থেকে কোয়ার্টারে উঠে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও হংকং।
[৮] রোববার জিতলেই রৌপ্যপদক নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। হাতছানি থাকবে স্বর্ণ জয়েরও। আর ভারতের কাছে হারলে ব্রোঞ্জপদকের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
[৯] এদিকে, এশিয়ান গেমসে পুরুষদের ক্রিকেটে অংশ নেবে ১৪টি দল। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান সরাসরি অংশ নেবে কোয়ার্টার ফাইনালে। পুরুষদেরটা শুরু হবে ২৭ সেপ্টেম্বর। আর ৯টি দেশ থেকে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে ৩টি দেশ উঠবে কোয়ার্টার ফাইনালে। ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান শেষ আটে মুখোমুখি হবে। ৬ অক্টোবর সেমিফাইনাল এবং ৭ অক্টোবর ব্রোঞ্জ ও স্বর্ণের লড়াই। সম্পাদনা: এল আর বাদল
টিএবি/এলআরবি/এনএইচ