স্পোর্টস ডেস্ক: কাতারের জনসংখ্যা তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি পর্যটক দেশটিতে ভ্রমণে যাবে ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে। আসবে ২০ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাতারে চলবে এই বিশ্বকাপ। সে সময় দেশটিতে বিদেশী পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে তুরস্কের তিন হাজার দাঙ্গা পুলিশ, ১০০ জন স্পেশাল অপারেশন্স পুলিশ ও ৫০ জন বোমা বিশেষজ্ঞ এবং ৮০টি প্রশিক্ষিত কুকুর।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী সেখানে তাদের পুলিশ বাহিনী কাজ করবে টার্কিশ কমান্ডের অধীনে। তবে তাদের অর্থ দেবে বিশ্বকাপের আয়োজকরা।
কাতারের জনসংখ্যা ত্রিশ লাখেরও কম। এর মধ্যে কাতারের নাগরিক মাত্র ৩ লাখ ৮০ হাজার। বিশ্বকাপের মতো একটি মহাযজ্ঞ সামলাতে তাই জনবলের ঘাটতিতে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
এজনই তারা সাহায্যের জন্য নিকটতম বন্ধুরাষ্ট্র তুরস্কের শরণাপন্ন হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বকাপ উপলক্ষে প্রায় ১২ লাখ দর্শক কাতার ভ্রমণ করবে।
দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি এবং তুরস্কের সরকারি গেজেটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বকাপের জন্য তারা তিন হাজার দাঙ্গা পুলিশ ও ১০০ জন স্পেশাল অপারেশন্স পুলিশ মোতায়েন করবে। এছাড়াও থাকবে ৫০ জন বোমা বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষিত ৮০ কুকুরের একটি স্কোয়াড। বিডি নিউজ
তুরস্কের সূত্র থেকে জানা গেছে, টুর্নামেন্ট চলাকালীন তাদের পুলিশ শুধুমাত্র কাতারে অস্থায়ীভাবে কাজ করা তুর্কি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নির্দেশনা নেবেন। কাতারের পক্ষ থেকে তুর্কি পুলিশকে সরাসরি নির্দেশ দিতে পারবে না। আর নিয়োজিত কর্মীদের সকল খরচ কাতার সরকার বহন করবে। চুক্তিতে বলা হয়েছে, তুরস্ক তাদের পুলিশ বাহিনী পরিচালনা করার জন্য সিনিয়র স্টাফ এবং ‘সমন্বয়ের জন্য কয়েকজন কর্মীর’ পাশাপাশি একজন ‘জেনারেল কোঅর্ডিনেটর’ পাঠাবে।
কাতার বিশ্বকাপে নিরাপত্তা দিতে তুরস্কের পাশাপাশি সাহায্য করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানও। গত মাসে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা একটি খসড়া চুক্তি অনুমোদন করেছে, যাতে দেশটির সরকার টুর্নামেন্টে নিরাপত্তার জন্য সেখানে সৈন্য পাঠাতে পারে।
তবে তারা কতজন সেনা পাঠাতে পারে, তা বলা হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো দেশই জানায়নি যে এই বিষয়ে তাদের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি হয়েছে। রিপোর্ট: মাকসুদ রহমান