স্পোর্টস ডেস্ক : শেষ উইকেটে হারিস রউফের রেকর্ড বৃথা গেলো। তার দল পাকিস্তান জিততে পারলো না। শারজায় মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানকে ১৮ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানে থামে সালমান আলীর দল।
রান তাড়ায় নেমে আফগানদের স্পিন শক্তির কাছে এদিন পরাস্ত হয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। অবশ্য পেসার ফজলহক ফারুকী শুরুটা করেছিলেন। -- সময়নিউজ
শূন্য রানে ওপেনার সাইম আইয়ুবকে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলার পর আরেক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানকে বোল্ড করেন তিনি। সাহিবজাদা ১৩ বলে ১৮ রান করে বিদায় নেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন ফখর জামান ও সালমান। কিন্তু দুজনের পরপর বিদায়ের পর চাপে পড়ে পাকিস্তান।
দলীয় ৬২ রানে ব্যক্তিগত ২৫ রানের ইনিংসে ফখর আর দলীয় ৬৭ রানে ব্যক্তিগত ২০ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন সালমান।
এরপর রশিদ খান, নুর আহমেদ ও মোহাম্মদ নবির তোপে ক্রিজে দাঁড়াতেই পারেননি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। ১৭ ওভারে ১১১ রান তুলতে ৯ উইকেট হারিয়ে হার প্রায় বরণ করে নেয় পাকিস্তান। কিন্তু শেষ উইকেট ঝলক দেখান হারিস রউফ। ১৬ বলে ৪ ছক্কার মারে অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে। তাতে অবশ্য আক্ষেপ-ই বাড়ে পাকিস্তানের। আরও আগে নামলে হয়তো ম্যাচটা জেতাতে পারতেন হারিস।
তাকে সঙ্গ দেওয়া ১১ নম্বর ব্যাটার সুফিয়ান ৬ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। দুজনের শেষ উইকেটের জুটিতে আসে ৪০ রান। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দশম উইকেটে যা সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। আফগানদের হয়ে ২টি করে উইকেট তুলে নেন ফারুকী, রশিদ, নবি ও নুর।
এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে দুই ফিফটিতে ১৬৯ রান সংগ্রহ করেছিল আফগানিস্তান। ৪৫ বলে ৩ ছক্কা ও ৩ চারের মারে ৬৪ রান করেন সেদিকউল্লাহ আতল। সমান বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৬৫ রান করেন ইব্রাহিম জাদরান। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের ঘরেই প্রবেশ করতে পারেননি। পাকিস্তানের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ফাহিম আশরাফ ২৭ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নেন।
ত্রিদেশীয় এ সিরিজে আগের দেখায় পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল আফগানিস্তান। এবার তারা সে প্রতিশোধ তুলে নিলো। সব মিলিয়ে দুদলের নবম দেখায় চতুর্থ জয় তুলে নিলো আফগানরা। রশিদদের সবগুলো জয়ই ২০২২ সালের পর।
সবকিছু ঠিক থাকলে এশিয়া কাপের আগে ত্রিদেশীয় এ টুর্নামেন্টের ফাইনালে আরেকবার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-আফগানিস্তান। টুর্নামেন্টের অপর দল স্বাগতিক আরব আমিরাতে দুই ম্যাচ খেলে একটিতেও জেতেনি।