স্পোর্টস ডেস্ক : বীমার ৮২ লাখ টাকা পাননি এস শ্রীসন্থ। সেই টাকা আদায়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ভারতীয় দলের সাবেক পেস বোলার। তিনি পাশে পেয়েছেন তাঁর প্রাক্তন আইপিএল দল রাজস্থান রয়্যালস কর্তৃপক্ষকে।
২০১২ সালে হাঁটুর চোটের জন্য আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন শ্রীসন্থ। জয়পুরে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সময় চোট পেয়েছিলেন প্রাক্তন জোরে বোলার। সে বছর রাজস্থান কর্তৃপক্ষ দলের ক্রিকেটারদের জন্য ৮ কোটি ৭০ লাখ টাকার বীমা করিয়ে রেখেছিলেন। ক্রিকেটারদের চোট লাগার সম্ভাবনার কথা ভেবেই বীমা করানো হয়েছিল।
সেই বীমা অনুযায়ী, ৮২ লাখ টাকা পাওয়ার কথা ছিল শ্রীসন্থের। কিন্তু সেই টাকা তিনি এখনও পাননি। সেই টাকা আদায়ের লক্ষ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার।
শ্রীসন্থ চোট পাওয়ার পর বীমার টাকার জন্য দাবি জানিয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ইন্স্যুরেন্স সংস্থা তাঁদের দাবি খারিজ করে দেয়।
সংস্থার বক্তব্য ছিল, ২০১১ সাল থেকেই শ্রীসন্থের পায়ের পাতায় চোট ছিল। বীমা করানোর সময় দেওয়া ফিটনেসের শংসাপত্রে সেই চোটের কথা গোপন করা হয়।
তা ছাড়া, শুধু মাত্র অতি গুরুতর চোটের ক্ষেত্রেই বীমা প্রযোজ্য। রাজস্থান কর্তৃপক্ষের পাল্টা বক্তব্য ছিল, শ্রীসন্থের পায়ের পাতায় ছোট চোট ছিল। সে জন্য তাঁর খেলতে কোনও সমস্যা হয়নি। প্রস্তুতি ম্যাচে পাওয়া হাঁটুর চোটের জন্যই তিনি আইপিএল খেলতে পারেননি। ফলে বীমার ৮২ লাখ টাকা শ্রীসন্থের পাওয়া উচিত।
ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ইন্স্যুরেন্স বীমার টাকা না দেওয়ায় জাতীয় ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালস কর্তৃপক্ষ। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর, কমিশন রাজস্থানের পক্ষে নির্দেশ দেয়।
ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষতে বীমার টাকা মিটিয়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে তারা।
২০১২ সালে হওয়া সেই সমস্যার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। উভয় পক্ষের কাছেই নিজেদের বক্তব্যের পক্ষে আরও তথ্যপ্রমাণ চেয়েছিলেন বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ।
বীমা করানোর সময় শ্রীসন্থের পায়ের পাতার চোটের কথা কেন জানানো হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা। পর্যবেক্ষণে বেঞ্চ জানায়, সব তথ্য ঠিক থাকলে বীমা সংস্থা আরও বেশি অঙ্কের প্রিমিয়াম চাইতে পারত।
তা হলে হয়তো জটিলতা তৈরি হত না। তাই শ্রীসন্থ ব্যক্তিগত ভাবে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। ১৩ বছরের পুরনো মামলার নিষ্পত্তি এবং বীমা বাবদ ৮২ লাখ টাকায় আদায়ই তাঁর লক্ষ্য।