স্পোর্টস ডেস্ক : নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলতি মাসের ৩০ তারিখ শুরু হবে। অক্টোবরের ২ তারিখ পর্দা নামবে এই টুর্নামেন্টের। বিশ্বকাপের জন্য রেকর্ড পরিমাণ প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে আইসিসি।
এবারের আসরে মোট পুরস্কার ধরা হয়েছে ১৩.৮৮ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫৩ কোটি টাকা), যা ২০২২ সালের সর্বশেষ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের তুলনায় প্রায় চার গুণ বেশি। --- ডেইলি ক্রিকেট
অবাক করা তথ্য হলো, নারীদের এই বিশ্বকাপের পুরস্কার অর্থ ২০২৩ সালের পুরুষদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের চেয়েও বেশি। সেবার পুরুষদের আসরে প্রাইজমানি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।
এবারের বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৪.৪৮ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৯.২৮ কোটি টাকা)। যা ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার প্রাপ্ত ১.৩২ মিলিয়ন ডলার (১৪.৫২ কোটি টাকা) থেকে ২৩৯ শতাংশ বেশি।
রানার্স আপ দলের পকেটেও ঢুকবে বিশাল অঙ্কের অর্থ। ফাইনালে হেরে যাওয়া দল পাবে ২.২৪ মিলিয়ন ডলার (২৪.৬৪ কোটি টাকা)। দুই সেমিফাইনালে হারা দলের প্রত্যেকেই পাবে ১.১২ মিলিয়ন ডলার (১২.৩২ কোটি টাকা)।
প্রতিটি দল গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণের জন্যই নিশ্চিতভাবে ২.৫ লাখ ডলার (২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা) পাবে।
প্রতিটি জয়ের জন্য অতিরিক্ত ৩৪,৩১৪ ডলার (৩৭.৭৫ লাখ টাকা) তো থাকছেই। গ্রুপ পর্ব শেষে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে থাকা দল পাবে ৭ লাখ ডলার (৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা) করে, আর সপ্তম ও অষ্টম স্থানে থাকা দল পাবে ২.৮ লাখ ডলার (৩.০৮ কোটি টাকা)।
আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেন, 'এটি নারী ক্রিকেটের যাত্রায় এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। চারগুণ পুরস্কার অর্থ বৃদ্ধি নারী ক্রিকেটের জন্য এক বৈপ্লবিক মুহূর্ত এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে বিকাশে আমাদের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করছে।
আমাদের বার্তা স্পষ্ট— যারা পেশাদারভাবে ক্রিকেট খেলতে চাইবে, নারীরা যেন জানে তারা পুরুষদের সমান মর্যাদা পাবে।
এই পদক্ষেপ বিশ্বমানের নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজনের আমাদের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছে এবং আগামী প্রজন্মের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের অনুপ্রাণিত করবে।