স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তান কদিন আগেই বাংলাদেশের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে সিরিজ জিতলেও একটা ম্যাচে হারতে হয়েছে তাদের। রশিদ লতিফ মনে করেন, এই ম্যাচগুলো তাদের হেরে যাওয়া উচিত হয়নি। এমন অবস্থায় এশিয়া কাপে ভারতের মোকাবেলা করাটা পাকিস্তানের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করেন তিনি। ----- ক্রিকফ্রেঞ্জি
চলতি বছরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সময়টা ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের। পিএসএল শেষে ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে তারা। যদিও পরের সিরিজেই হারতে হয়েছে বাংলাদেশের কাছে। বাংলাদেশ সফরে এসে শেষ ম্যাচে জিতলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে পাকিস্তান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অবশ্য সিরিজ জিতেছে সালমান আলী আঘার দল। তবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে একটি ম্যাচে হেরেছে পাকিস্তান। অর্থাৎ সবশেষ ৬ ম্যাচের তিনটিতে হেরেছে তারা। পাকিস্তানের এমন অধারাবাহিকতাকে সামনে এনেছেন রশিদ লতিফ। তিনি মনে করেন, এই ম্যাচগুলো হেরে যাওয়া উচিত হয়নি।
সেই সঙ্গে নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সালমানকে নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। নিজে পারফর্ম করলেও একসঙ্গে তিন ফরম্যাটে খেলে যাওয়া যে সহজ নয় সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক এই উইকেটকিপার ব্যাটার। এ ছাড়া পাকিস্তানে প্রতিভা থাকলেও তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বলে ধারণা তাঁর।
প্রসঙ্গে রশিদ লতিফ বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেট অনেকটা অধারাবাহিক...। আমরা বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে যে ম্যাচগুলো হেরেছি এগুলো হেরে যাওয়া উচিত হয়নি। আমাদের অধিনায়ক হয়ত ভালো আছে কিন্তু তিন ফরম্যাটেই খেলে যাওয়া সহজ ব্যাপার নয়। আমাদের প্রতিভা আছে কিন্তু আমরা সঠিক এখনো সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও আফগানিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে শারজাহতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। তবে তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা এশিয়া কাপে ভারতকে মোকাবেলা করা। ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে একে অপরের বিপক্ষে খেলবে তারা। আইসিসি কিংবা এসিসির টুর্নামেন্টে ভারতের সঙ্গে যেন পেরেই উঠতে পারে না পাকিস্তান।
রশিদ লতিফের চাওয়া অবশ্য, কোনো সমস্যা ছাড়া এশিয়া কাপ শেষ হওয়া। তিনি বলেন, ‘১৪ সেপ্টেম্বর ভারতকে মোকাবেলা করা ভারতের জন্য কঠিন একটা চ্যালেঞ্জ হবে। আমি শুধু আশা করি এশিয়া কাপটা কোনো সমস্যা ছাড়া ভালোভাবে শেষ হোক।