জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহিদ রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
বুধবার (৬ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
গত ২৯ জুলাই মামলার সব পক্ষের শুনানি শেষ হয়। পরে ৩০ জুলাই ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম, মিজানুল ইসলাম, মঈনুল করিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
এছাড়া পলাতক আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সরকারি খরচে নিয়োগ পাওয়া চার আইনজীবী। এর মধ্যে পাঁচ আসামির পক্ষে লড়েন আইনজীবী সুজাত মিয়া। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ। এছাড়া শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রক্টর মো. শরিফুল ইসলামের হয়ে লড়েন আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো। কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন রিগ্যান। এ তিনজনেরই অব্যাহতি চান আইনজীবীরা।
এর আগে ২৮ জুলাই প্রসিকিউশন পক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আবেদন জানায়। চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্যসহ চারজনের নির্দেশে আবু সাঈদকে হত্যা করা হয়। তাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হওয়াই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
গত ২৪ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এতে সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই, কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুরের পার্ক মোড় এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।