শিরোনাম
◈ ঐক্যবদ্ধ থাকুন, মুখ দেখাদেখি যেন বন্ধ না হয়: তারেক রহমান ◈ ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে প্রাণ গেল কৃষকের ◈ চালকের ঘুমে কেড়ে নিল প্রবাসী বাহারের পরিবারের ৭ প্রাণ, এলাকায় শোকের মাতম  ◈ ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’ লিখেছিলেন প্রবাসী বাহার, ফিরে পেলেন স্বজনদের লাশ ◈ মাধবদীতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ল ৭ দোকান ◈ মটর সাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেলো অজ্ঞাতপরিচয় নারীর ◈ তুরাগ-উত্তরায় নীরব নৈরাজ্য: দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও হরিলুট ◈ অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ের প্রভাবে লোহালিয়ার বেরিবাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ ◈ কক্সবাজার সমুদ্রজল থেকে আবারও অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার ◈ বাঁশখালীতে মাদকের টাকার জন্য পিতাকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক পুত্র গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ০৬ আগস্ট, ২০২৫, ০৫:০২ বিকাল
আপডেট : ০৬ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উদযাপন

বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় ও তাৎপর্যপূর্ণ দিবস ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় ছিল, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবে চোখে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত ও বর্তমানে তুরস্কে চিকিৎসাধীন সাতজন আহত যোদ্ধার উপস্থিতি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান জনাব মোঃ শফিক উদ্দিন। শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠের পর প্রদর্শিত হয় পোস্টার ও তথ্যচিত্র, যেখানে তুলে ধরা হয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব।

আলোচনা পর্বে অংশ নেন পিএইচডি শিক্ষার্থী মোঃ সাইফুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের আঙ্কারা অফিসে কর্মরত প্রফেসর ড. ফেরদৌস জাহান এবং আহত জুলাই যোদ্ধা কোরবান শেখ হিল্লোল। বক্তারা সবাই শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে বলেন, এই অভ্যুত্থান একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশের ভিত্তি গড়েছে। আলোচনায় “আজাদী মোবারক” শুভেচ্ছা জানিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের ত্যাগ ও সংগ্রামের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

দূতাবাসের ডিফেন্স উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান এই অভ্যুত্থানকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ভবিষ্যতেও সশস্ত্র বাহিনী ন্যায় ও জনগণের পক্ষে থাকবে।

সমাপনী বক্তব্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান ছিল ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার মিলিত জাগরণ। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অনন্য ও গৌরবময় অধ্যায়।”

রাষ্ট্রদূত জানান, তুরস্ক সরকারের সহযোগিতায় ৭ জন আহত যোদ্ধার চোখের চিকিৎসা চলছে এবং ভবিষ্যতে আরও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। তিনি তুরস্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের সবাইকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক, বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে।”

অনুষ্ঠানের শেষাংশে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও বিশেষ মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। পরে অতিথিদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়