রায়হান আবিদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাওলানা ভাসানী হলে এবার এক ভিন্ন চিত্র দেখা গেল। প্রচলিত ধারা ভেঙে ফিস্টের গ্র্যান্ড ডিনারে অংশ নিলেন হলের কর্মচারীরা। সাধারণত এই ধরনের আয়োজনে কেবল শিক্ষার্থীরাই যোগ দেয়। তবে এবার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নেওয়া এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে হলজুড়ে এক উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুই দিনব্যাপী ফিস্টের শেষ দিনে এই আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এটি একটি দারুণ নজির স্থাপন করেছে।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান জানান, হলের দৈনন্দিন কাজ ও উন্নয়নে কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমকে সম্মান জানাতেই তারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করবে।
এই ব্যতিক্রমী আয়োজনে অংশ নিয়ে ক্যান্টিনের কর্মচারী রফিক বলেন, "বছরের পর বছর ধরে এই হলে কাজ করছি। কিন্তু এমন সম্মান আগে কখনো পাইনি। শিক্ষার্থীরা আমাদের সবার আগে টেবিলে বসিয়ে খাইয়েছে, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।"
হলের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দুর্জয় এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, "জুনিয়ররা যা করেছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। যারা আমাদের হলের ভালোর জন্য সবসময় পরিশ্রম করে, তাদের সম্মানার্থে এই উদ্যোগটি খুবই সুন্দর।"
দুই দিনব্যাপী ফিস্টে আরও ছিল খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন বিনোদনমূলক আয়োজন। তবে গ্র্যান্ড ডিনারে কর্মচারীদের অংশগ্রহণই এবারের ফিস্টের সবচেয়ে আলোচিত এবং প্রশংসিত দিক ছিল।
বাকৃবিতে মাওলানা ভাসানী হলের ফিস্টে নতুন দৃষ্টান্ত: শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্র্যান্ড ডিনারে অংশ নিলেন কর্মচারীরা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাওলানা ভাসানী হলে এবার বার্ষিক ফিস্টে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। সাধারণত এই ধরনের আয়োজনে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীরাই অংশ নিলেও, এবার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গ্র্যান্ড ডিনারে সামিল হয়েছিলেন হলের কর্মচারীরা। এই ব্যতিক্রমী এবং প্রশংসনীয় পদক্ষেপটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
গত মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুই দিনব্যাপী এই ফিস্টের শেষ দিনে এই বিশেষ আয়োজন করা হয়। হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, হলের সার্বিক কার্যক্রমে কর্মচারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি জানাতেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মতে, এমন আয়োজন শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে।
ক্যান্টিন কর্মচারী রফিক তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, "আমি অনেক বছর ধরে এখানে কাজ করছি, কিন্তু এমন সম্মান আগে কখনো পাইনি। শিক্ষার্থীরা আমাদের তাদের নিজেদের মতো করে বসিয়ে খাইয়েছে, এটা সত্যিই আমাদের মন ছুঁয়ে গেছে।"
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দুর্জয় জুনিয়রদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, "যেসব কর্মচারীরা আমাদের হলের জন্য নিরলস পরিশ্রম করেন, তাদের প্রতি সম্মান জানানোটা খুবই সুন্দর একটি কাজ।"
দুই দিনব্যাপী এই ফিস্টে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকলেও, কর্মচারীদের এই অংশগ্রহণই ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচিত এবং প্রশংসিত।