স্পোর্টস ডেস্ক : ক্যান্ডিতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে। কিন্তু ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। সফরকারীদের পাত্তাই দেয়নি স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের করা ১৫৪ রান তাড়া করেছে অনায়েসেই। কুশল মেন্ডিস, পাথুম নিশাঙ্কাদের ঝড়ে ৭ উইকেটে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ৬ বল আগেই ম্যাচ নিজেদের করে স্বাগতিকরা।
ওয়ানডে সিরিজে কিছু করতে না পারা নিশাঙ্কা যেন প্রতিশোধ নিলেন। ১৬ বলেই করলেন ৪২ রান। ৫১ বলে কুশল মেন্ডিসের ৭৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২২ বলে ৩৮ রান পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে। ২৯ বলে অপরাজিত মন্থর গতির ২৯ রান নাইম শেখের।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করলো লঙ্কান দুই ওপেনার নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে আসে ৮৩ রান। তার আগে হারিয়েছেন কেবল নিশাঙ্কার উইকেট। ততক্ষণে ১৬ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় ৪২ রান ডানহাতি ওপেনারের।
নিশাঙ্কা না পারলেও ৩১ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন মেন্ডিস। মাঝে কুশল পেরেরা অবশ্য ফিরেছেন ৩৫ বলে ২৪ রান করে। তাতে কেবল জয়ের ব্যবধান কমেছে লঙ্কানদের।
শেষ দিকে গিয়ে মেন্ডিসের উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তার আগেই ডানহাতি ব্যাটারের নামের পাশে ৫১ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় ৭৩ রান। মেন্ডিস ফিরলেও আভিষ্কা ফার্নান্দো ও চারিথ আসালঙ্কা মিলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। আভিষ্কা ১১ ও আসালঙ্কা অপরাজিত ছিলেন ৮ রানে।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে তানজিদ তামিমকে নিয়ে দারুণ শুরু এনে দেন ইমন। ১৭ বলে ১৬ রান করে ইমন আউট হয়েছেন। এতেই স্পষ্ট অন্য পাশে কতটা আক্রমণাত্মক ছিলেন ইমন। তামিমের বিদায়ের পরও পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ১ উইকেটে ৫৪ রান।
কিন্তু রানের গতি কমিয়ে, দলের বিপদ বাড়িয়ে ফিরলেন অধিনায়ক লিটন। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া লিটন ১১ বলে করতে পারেননি ৬ রানের বেশি।
চাপে পড়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন ইমনও। ২২ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৩৮ রানে থামেন বাঁহাতি ওপেনার। ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৫৪ থেকে ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৭৯ রান টাইগারদের স্কোরবোর্ডে।
লম্বা সময় পর জাতীয় দলের জার্সিতে ফেরা নাইম শেখের সাথে জুটি জমাতে ব্যর্থ তাওহিদ হৃদয়। ১৩ বলে ১০ রান সম্বল নামের পাশে।
১৪.৪ ওভারে দলীয় সংগ্রহ পেরোয় ১০০। দলকে কোনোরকম লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ার পথে ৪৬ রানের জুটি নাইম-মিরাজের। ২৩ বলে ৪ চারে মিরাজ আউট হন ২৯ রান করে।
শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৫৪ রানে থামার পথে বাংলাদেশের হয়ে ২৯ বলে ১ চার ১ ছক্কায় ৩২ রানে অপরাজিত নাইম। ৫ বলে ২ ছক্কায় ১৪ রানে অপরাজিত শামীম।