শাহাজাদা এমরান, কুমিল্লা: কুমিল্লার দেবিদ্বার এক নারীর রক্তাক্ত ও ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত ওই নারীর নাম ঝরনা আক্তার (৪৫)। তিনি পৌর এলাকার সাইলচর গ্রামের পূর্বপাড়ার আব্দুল করিমের স্ত্রী।
স্থানীয় এলাকাবাসী কয়েকজন বলেন, গত তিন বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে মনমানিল্যের কারণে ঝরণা বেগম আলাদা কক্ষে ঘুমাতেন। এরই মধ্যে ঝরণা বেগম পার্শ^বর্তী বড় আলমপুর গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারা দুইজন প্রায়ই সাইলচর এলাকার বিভিন্ন চা দোকানে আড্ডা দিতো। ঝরণা বেগম প্রায়ই স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রাতে ঘর থেকে বের হয়ে যেতো।
ঘটনার রাতে ঝরণা তার স্বামীকে জোর করে ৮ টি ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে করিম স্ত্রী’র ঘরে গিয়ে বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পান। তার কানে, মুখের এক পাশে এবং ঘারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ক্ষত বিক্ষত করার চিহ্ন। এসময় পাশের জানালাটি খোলা ছিল। বিষয়টি বাড়ির অন্যদের জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়।
নিহতের স্বামী আব্দুল করিম বলেন, তাদের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। দুই ছেলে বিদেশে থাকেন। বড় ছেলে ট্রাক্টর চালক। তিনি অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী তাকে প্রায়ই ঘুমের ওষুধ খাওয়াতেন। মঙ্গলবার রাতে তাকে জোর করে আটটি ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। সকাল আটটার দিকে ঘুম ভেঙে স্ত্রীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, “ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি তবে শিগগিরই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।” নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।