স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন ঘটনা সত্য, ক্লাব বিশ্বকাপের একটি দলের অধিনায়ক পেশায় কোমল পানীয় বিক্রেতা, সহ অধিনায়ক করেন রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা আর গোলরক্ষক কাজ করেন পশু চিকিৎসার ওষুধ কোম্পানিতে। বাকি খেলোয়াড়রদের মাঝে কেউ করছেন পড়াশোনা আর কেউ আছেন ভিন্ন পেশায়। শুনতে অবাক লাগলেও নিউজিল্যান্ডের ফুটবল ক্লাব অকল্যান্ড সিটি এফসি’র এসব খেলোয়াড়রাই লড়াই করবেন লিওনেল মেসি, হ্যারি কেইন ও আর্লিং হালান্ডদের মত তারকাদের সাথে। -- যমুনানিউজ
অফিস থেকে ছুটি পেলে সাধারণত আমরা কোথাও বেড়াতে যাই অথবা দৈনন্দিন জীবনের কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকি। কিন্তু ভাবুন তো, কেউ কেউ পেশাগত জায়গা থেকে ছুটি নিয়ে অংশ নেবেন বিশ্বকাপের মঞ্চে। নিজ দেশ ছেড়ে চলে যাবে অন্য দেশে, আর মুখোমুখি হবে হ্যারি কেইনের মত অভিজ্ঞ ফুটবলারের। নিউজিল্যান্ডের ফুটবল ক্লাব অকল্যান্ড সিটি এফসি’র খেলোয়াড়দের গল্প এটি।
নিউজিল্যান্ডের এই ক্লাবটির দল তৈরি করা হয়েছে কিছু অপেশাদার ফুটবলারদের নিয়ে। এদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা ক্যারিয়ারে সেটেল্ড অথবা চালিয়ে যাচ্ছেন পড়াশোনা। দলে কোমল পানীয় বিক্রেতা থেকে শুরু করে আছে রিয়েল এস্টেট এজেন্টসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশায় যুক্ত থাকা খেলোয়াড়রা। মূলত ক্লাবের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণেই ফুটবল ছাড়াও ভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন ফুটবলাররা।
দলের অধিনায়ক মারিও ইলিচ কোকাকোলা বিক্রয় প্রতিনিধির কাজ করছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠেই তিনি এক ঘণ্টা জিম করেন। বাড়ি ফিরে ৮ টার মধ্যে পৌঁছে যান কর্মস্থলে। অফিস শেষ করে দুই ঘণ্টার জন্য করেন অনুশীলন। এরপরেই যান ঘুমোতে।
সহ অধিনায়ক অ্যাডাম মিচেল জড়িত আছেন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়। আর দলটির গোলরক্ষক কনর ট্রেসি কাজ করেন পশু চিকিৎসার ওষুধ কোম্পানির গুদামে। যে পেশায় অপর্যাপ্ত বিশ্রামের কারণে থাকে চোট পাওয়ার সম্ভাবনা। তবুও কমেনি ফুটবলের প্রতি নিজের ভালোবাসা।
ক্লাব বিশ্বকাপে বায়ার্ন মিউনিখ ও বেনফিকার মত ক্লাবের বিপক্ষে লড়তে হবে অকল্যান্ডকে। যেখানে তাদের পার্থক্য বিশাল। তবে নিজেদের প্রতি আস্থা রাখছেন অধিনায়ক ইলিচ। কেননা তারা মাঠে ও মাঠের বাইরে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। একতা দিয়ে জয় ছিনিয়ে নিতে চান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৩ বার ওএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে এই অঞ্চলের সবচেয়ে সফল দল হওয়ার পাশাপশি তারা বহুবার জায়গা করে নিয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপে। তবে এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের বড় করে মেলে ধরবার সুযোগ থাকছে ওশেনিয়ার সফলতম দল অকল্যান্ডের সামনে।