শিরোনাম
◈ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে কড়াকড়ি, বিনিয়োগ বাড়াতে ভারসাম্যের খোঁজে বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ আ.লীগের নতুন পরিকল্পনা হাসিনাকে দেশে ফেরাতে, ঢাকায় প্রশিক্ষণ ◈ সাপুড়ের প্রাণ নেয়া সাপটিকে কাচা চিবিয়ে খেয়ে নিলো আরেক সাপুড়ে ◈ লুইস ‌দিয়াস লিভারপুল ছেড়ে দি‌লেন, চার বছরের চুক্তিতে ঢুক‌লেন বায়ার্নে মিউ‌নি‌খে ◈ রাষ্ট্র মেরামত ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ কোনোভাবেই মিস করা যাবে না: আইন উপদেষ্টা  ◈ দুই ছাত্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা: জামিন পেলেন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফারাবী ◈ প্রথম পর্বে ৬২ বিষয়ে ঐকমত্যে রাজনৈতিক দলগুলো, তালিকা প্রকাশ করলো কমিশন ◈ জামায়াত আমিরের হার্টে তিনটি ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত : ১৫ জুন, ২০২৫, ১১:২০ রাত
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইরানে বিদ্রোহের ইঙ্গিত সাবেক যুবরাজ রেজা পাহলভির: ইসরায়েল-যুদ্ধ পরবর্তী ‘রেজিম চেঞ্জ’ পরিকল্পনার আভাস

রেজা পাহলভি

ইরানে পতিত পাহলভি রাজবংশের দাবি করা যুবরাজ রেজা পাহলভি দেশটিতে বর্তমান রেজিমের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহের আভাস দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের সাবেক এই যুবরাজ এই পরিকল্পনার আভাস দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর ইরানিরা বর্তমান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবেন। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমারা নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও অন্যান্য উপায়ে সহায়তা করবে। তবে তিনি নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি।

রেজা পাহলভি বলেছেন, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বর্তমান রেজিমকে ক্ষমতাচ্যুত করলে মধ্যপ্রাচ্য ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অনেক সমস্যার সমাধান হবে। এর মাধ্যমে তিনি ‘ইরানিদের’ বোঝাতে চেয়েছেন যে, এমন একটি ফলাফল তাঁদের স্বার্থেও অনুকূল। এটি কেবল কথার কথা নয়—এটি বোঝাতে তিনি দাবি করেন, ইরানের ক্ষমতাসীনদের ভেতরের কিছু ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

অনেক পশ্চিমা রাজনীতিবিদ ও যাঁরা ইরানকে আন্তর্জাতিক হুমকি মনে করেন, তাঁদের কাছে এই বার্তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যাঁরা মনে করেন—ইসরায়েল একটি সার্বভৌম দেশের ওপর বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে (সরকার যতই অপ্রিয় হোক না কেন), তাঁদের কাছে এই বার্তা হয়তো ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে রেজা পাহলভি যুক্তি দেন, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের নিজস্ব কর্মকাণ্ডই তাঁদের এই অবস্থানে এনেছে। তিনি বিশ্বাস করেন না যে, ইসরায়েলের উদ্দেশ্য বেসামরিক নাগরিক হত্যা করা।

পাহলভির স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কি ইরানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অনুকূল

ইরানিরা যে দেশটির বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত—এমন কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যায়নি। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলার সময় এখনো আসেনি। কিছু মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমের জোরালো অনুভূতি দেখা গেছে। আবার অনেকেই ইসলামিক প্রজাতন্ত্রকে বিদেশে সংঘাতে জড়ানো, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা এবং তাদের স্বার্থের পরিপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন করার জন্য দায়ী করেছেন।

পাহলভি বলেছেন যে, সাধারণ ইরানিরা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে যেতে চান না। যদি কোনো বিদ্রোহ ঘটে, তবে পাহলভি নিজেকে এমন এক নেতা হিসেবে তুলে ধরতে চান, যিনি ইরানের ক্রান্তিকালীন সময়ে নেতৃত্ব দিতে পারেন।

তিনি ইরানিদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করছেন বলে ধারণা করছেন এবং আন্তর্জাতিকভাবেও তাঁর পরিচিতি আছে। তবে তিনি দেশের ভেতরে ও বাইরে ইরানের বিভিন্ন বিরোধী আন্দোলনের একমাত্র অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে বিবেচিত নন। জনসমর্থন বাড়াতে তিনি বলেছেন, যেকোনো ভবিষ্যৎ সরকারের রূপ জনগণই নির্ধারণ করবে।

কিন্তু তাঁর সব কথাই একটি গণ-অভ্যুত্থানের ওপর নির্ভরশীল, যা এখনো ঘটেনি। ইরানে প্রবেশাধিকারের অভাবে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা করা কঠিন। এ ছাড়া সাধারণ ইরানিরা কি নেতানিয়াহু ও পাহলভি উভয়ের কথামতোই দেখবে—এটিই এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়