স্পোর্টস ডেস্ক : স্বাগতিক বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের সামনে গত ম্যাচেই সুযোগ ছিল সিরিজ জেতার। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবিয়ে সেটি করতে পারেনি আকবর আলীর দল। তবে তৃতীয় ম্যাচে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। আর তাতেই দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। -- ডেইলি ক্রিকেট
রাজশাহীতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ১৯১ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকরা পায় ৩৪ রানের জয়।
রাজশাহীতে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রোটিয়ারা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ওপেনিং করতে নামা চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই।
আরেক ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিন করেছেন ৪৮ বলে ২৬ রান। তিনে নামা রায়ান রাফসান শুরুটা ভালো করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২০ বলে ১৯ রান করে ফিরেছেন তিনি।
প্রথম দুই ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে না পারা আরিফুল ইসলাম এদিনও ব্যর্থ। ১১ বলে ১১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার।
তবে চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক আকবর। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনিও। ৫১ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেছেন স্বাগতিক অধিনায়ক।
বিপদের সময় দলের হাল ধরেন রাকিবুল হাসান ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি। দুজনের জুটিতে লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ৪০ বলে ৪২ রান করেন রাকিবুল, রাব্বির ব্যাট থেকে এসেছে ৭৭ বলে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫৮ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন টেপো নাওয়ান্দা।
ছোট রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরু থেকেই তাদের চাপে রাখেন রাকিবুল-রাব্বিরা। টাইগার বোলারদের সামনে সুবিধা করতে পারেনি প্রোটিয়া ব্যাটাররা।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেছেন টিয়ান ফন ভুরেন। এছাড়াও ৩৭ রান করেছেন মোকোয়েনা। যা প্রোটিয়াদের হারের ব্যবধান কমিয়েছে শুধু।
বাংলাদেশেশের হয়ে ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেছেন রাকিবুল। রাব্বি নিয়েছেন ২টি উইকেট।