রিয়াদ হাসান: [২] ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, যখন দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অভাবে জনগণের ওপর বার বার লাশের মিছিল দৃশ্যমান হয় এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে দেশের অর্থনীতির ওপর আক্রমণ আসতে থাকে, তখনই দেশের আইন-আদালত ও নির্বাচন ব্যবস্থা হয় আজ্ঞাবহ। যদি শক্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হয়, তাহলে এ সরকারকে বিদায় করতে হবে।
[৩] মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকা থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে শান্তিনগর, পল্টন মোড় ঘুরে প্রেসক্লাব এসে শেষ হয়। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জোট নেতারা এসব কথা বলেন।
[৪] শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে গণসংযোগ ও পদযাত্রাটির আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।
[৪] জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই নির্বাচন ভাগাভাগির নির্বাচন। কারণ এই ডামি নির্বাচনে কারা এমপি হবে তা ঠিক করা হয়ে গেছে। তাই এই নির্বাচনে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। এখনো নির্বাচন বাতিল করার সুযোগ আছে। অবিলম্বে নির্বাচন বাতিল করে পদত্যাগ করুন। অন্যথায় গণ-আন্দোলনের স্রোতে সরকার ভেসে যাবে।
[৫] তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা একজন অর্থনীতিবিদ নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান দিতে পারিনি। আমরা বিশ্ব বিবেকের কাছে লজ্জিত।
[৬] জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, এটা নির্বাচন নয়, নির্বাচনের নামে পুতুল খেলা চলছে। আগামী ৭ তারিখ জনগণ এই পুতুল সরকারকে ক্ষমতায় থেকে টেনে নামাতে প্রস্তুত থাকবে। জনগণের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। শেখ হাসিনার আর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নাই।
[৭] ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ করে বলতে হয়, আজ দেশে পতাকা আছে, স্বাধীনতা নাই। সংবিধান আছে, অধিকার নাই। শিল্প আছে, উৎপাদন নাই। শিক্ষিত যুবক আছে, কর্মসংস্থান নাই। আমরা মানচিত্র পেয়েছি, তবে সীমান্ত অরক্ষিত। একটাই সমাধান, স্বৈরাচার হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ চাই।
[৮] এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম। এতে জোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
আরএইচ/এসসি/এসবি২