শিরোনাম
◈ টাকা ফেরাতে আইন, প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক সমন্বয়ে জোর দিচ্ছে সরকার ◈ দুর্বৃত্তের হামলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে ঢাবি শিক্ষার্থী নিহত ◈ যেসব এলাকায় বুধবার বিদ্যুৎ থাকবে না জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি ◈ ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধে কড়া বার্তা: তিন রিকশা ভাঙচুর, চালকদের ক্ষতিপূরণ ও বিকল্প আয়ের আশ্বাস ◈ যে কারণে বাংলাদেশে বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিলো কলকাতার অভিনেতা শাশ্বতকে! (ভিডিও) ◈ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার : প্রেস সচিব ◈ আ. লীগের নিবন্ধন বাতিলের পর সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি উঠেছে, নেতারা এখন কি করবে?  ◈ প‌রি‌স্থি‌তি স্বাভা‌বিক, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজের নতুন সূচি প্রকাশ ◈ ভারত আবার বাড়াবা‌ড়ি কর‌লে আমরা চুপ থাকবো না: শহীদ আফ্রিদি ◈ ভারত শাসিত কাশ্মীরে আবারও বন্দুকযুদ্ধ, নিহত ৩

প্রকাশিত : ১৩ মে, ২০২৫, ০৯:৩৯ রাত
আপডেট : ১৪ মে, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ আন্দোলনের পর এনসিপি-জামায়াত বিভক্তি: শাহবাগে জাতীয় সংগীত ও বিতর্কিত স্লোগান ঘিরে তুমুল বিতণ্ডা

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার আন্দোলন শেষ হতে না হতেই এবার ভার্চুয়ালি তুমুল বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার আন্দোলনে একসঙ্গে মাঠে কর্মসূচি পালন করা দল দুটির এ বিরোধে রাজনীতিতেও তৈরি হয়েছে নানা কৌতূহল। সূত্র: সময়ের আলো

এর আগে অভ্যুত্থানের পরও আন্দোলনের ক্রেডিট নিয়ে সমন্বয়কদের বড় একটি অংশ বর্তমান এনসিপি ও তাদের ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিরোধ ও পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস দেওয়া নিয়ে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে এক কাতারে ফের মাঠে নামেন উভয় দলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু আন্দোলন শেষ হতেই আবারও স্পষ্ট হয় মতবিরোধ।

যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত : সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে শাহবাগে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমসহ বেশ কয়েকজন নেতার নাম ধরে বিতর্কিত কিছু স্লোগান ও জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয়েছে এরকম কিছু ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে আন্দোলনের সামনে থাকা এনসিপি নেতাদেরও দায় দিয়ে মন্তব্য করছিলেন নেটিজেনরা। এরই মধ্যে শনিবার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পর তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একাত্তর ও মুজিববাদী বাম ইস্যুতে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেন, ‘একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে। পাকিস্তান এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। সহযোগীদের ইনিয়ে বিনিয়ে গণহত্যার পক্ষে বয়ান উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে স্যাবোটাজ করা বন্ধ করতে হবে। সাফ দিলে আসতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, ‘মুজিববাদী বামদের ক্ষমা নেই। লীগের গুম-খুন আর শাপলায় মোদিবিরোধী আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞের মস্তিষ্ক এরা। এরা থার্টিসিক্সথ ডিভিশন। জুলাইয়ের সময়ে এরা নিকৃষ্ট দালালি করেও এখন বহাল তবিয়তে আছে। আজ পর্যন্ত মুজিববাদী বামেরা কালচারালি ও ইন্টেলেকচুয়ালি জুলাইয়ের সঙ্গে গাদ্দারি করে যাচ্ছে। দেশে বসে জুলাইয়ের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে এরা চক্রান্ত করেই যাচ্ছে। লীগের এসব বি-টিমও শিগগিরই পরাজিত হবে। অন্য কারও কাঁধে ভর করে লাভ নেই।’ এরপরই ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায় জামায়াত শিবির নেতাকর্মীদের কাছ থেকে। মাহফুজ আলমকে সমর্থন জানিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানান নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরাও।

শুরু হয় পাল্টাপাল্টি পোস্ট। তুমুল এই প্রতিক্রিয়ার মধ্যে ফের আক্রমণাত্মক স্ট্যাটাস দেন মাহফুজ আলম। সেখানে আগের চেয়েও কড়া ভাষায় জামায়াতকে ইঙ্গিত করে মন্তব্য করেন তিনি। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যে স্ট্যাটাসটি তার ওয়াল থেকে সরিয়ে নেন তথ্য উপদেষ্টা। তবে স্ট্যাটাসের স্কিন শটটি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়ায়। সেখানে মাহফুজ আলম লেখেন- আমাকে নিয়ে নোংরামি করতেসো, ঝামেলা নাই। ফ্যামিলি টাইনো না, যুদ্ধাপরাধের সহযোগী রাজাকারেরা। এটা লাস্ট ওয়ার্নিং। আর, যে চুপা শিবিররা এ সরকারে পদ বাগাইসো আর বিভিন্ন সুশীল ব্যানার খুলে পাকিস্তানপন্থা জারি রাখসো, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষ রাজাকার আর দালালদের তুলনায় আরো অধিক ভুগবা। যারা বিতর্কের এবং গালাগালির লিমিট জানে না, তাদের আমি সহনাগরিক মনে করি না। পাকিস্তানপন্থিরা যেখানেই থাকবে, সেখানেই আঘাত করা হবে। আমৃত্যু! ঢাবিতে এ রাজাকারদের আগে ঠেকানো হবে, যারা এদের স্পেস দিসে তাদের জন্য গত পঞ্চাশ বছরের তুলনায় অধিক জিল্লতি অপেক্ষা করসে!’

কড়া প্রতিক্রিয়া
মাহফুজ আলমের দ্বিতীয় স্ট্যাটাসে উত্তাপ আরও বাড়ে। বিতর্ক পৌঁছায় তীর্যক মন্তব্যে। ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতা সাদিক কাইয়ুম ফেসবুকে মাহফুজ আলমকে মানসিক অসুস্থ বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে একই ধরনের অজস্র স্ট্যাটাস দেন জামায়াত ও শিবিরের কর্মী সমর্থকরাও। 

অপরদিকে এনসিপি থেকেও কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায় শীর্ষস্থানীয় নেতারা। দলটির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী চলমান বিতর্কে শরিক হয়ে লেখেন, পাকিস্তান ও একাত্তরে গণহত্যা সহযোগীদের রাজনীতি কঠিন করে দেওয়া হবে। দলটির ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘একাত্তর প্রশ্নে আপসহীন থাকতে হবে। দেশে রাজনীতি করতে হলে একাত্তর ও চব্বিশকে ধারণ করেই রাজনীতি করতে হবে। তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়! লাখো শহিদের রক্তে কেনা, দেশটা কারও বাপের না! গোলাম আযম তুই রাজাকার, বাংলা কি তোর বাপ-দাদার?’ এর আগে এক পোস্টে তিনি বলেন, হাসিনাকে সরায়ে গোলাম আযমের জন্য আমরা জুলাইয়ে রক্ত দিইনি।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্য করে শপথ ভঙ্গ করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ। সোমবার তিনি এক অনুষ্ঠানে বলেন, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ সংবিধানবিরোধী যে কাজ করেছেন তাতে তিনি শপথের ভায়োলেশন করেছেন। কোনো রাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে কাউকে হুমকি দেওয়া বা কোনো বিষয়ে তার দায়িত্ব থাকাকালীন এটি তার জন্য মানায় না।

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, সামাজিক মাধ্যমে আমাদের সদস্যরা বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক দিন ধরে জামায়াতের বিষয়ে লেখালেখি করছে। আমরা ইতিমধ্যে বিবৃতি দিয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। মূল ঘটনা শাহবাগে আন্দোলনের সময় ওইদিন কিছু ব্যক্তি বিতর্কিত স্লোগান দেয়। তাদের স্লোগানে নির্দিষ্ট একজনের নাম ছিল। এমনকি জাতীয় সংগীত পরিবেশনেও বাধা দেওয়া হয়।

আমরা এনসিপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন করেছি। সেখানে অবস্থান নেয় জামায়াত-শিবিরসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন। আন্দোলনে সম্মিলিত স্লোগান হতে পারে। কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নয়। তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান হলো যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তাদের ব্যাখ্যা জাতির কাছে স্পষ্ট করতে হবে। এনসিপির ভেতরে একেকজন একেক মতাদর্শ থাকতে পারে; কিন্তু বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে এক ও অভিন্ন।

এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনই নয়, ইতিপূর্বে একাত্তর প্রশ্নে ইনিয়ে-বিনিয়ে এড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি শাহবাগে জাতীয় সংগীত গাইতে ছাত্রশিবিরের বাধা দেওয়া, গোলাম আযমের নামে স্লোগান দেওয়া নিয়ে তারা কী প্রমাণ করতে চাইল? এসব দেখতে যে কেউ মনে করতে পারে এই আন্দোলন স্বাধীনতাবিরোধীদের আন্দোলন। এখানে সব দলের পেশার লোকজন ছিল। জামায়াত তার ঐতিহাসিক দায় মোচনের অপচেষ্টা করছে। কিন্তু তারা ক্ষমা চাচ্ছে না। তাদেরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি বলেন, গণহত্যার শাস্তির বিধান নিয়েও জামায়াতের আপত্তি আছে, কারণ তারা সেটির সঙ্গে জড়িত। হাসিনা পতনের মতো এবারের আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনেও শিবির ক্রেডিট নিতে চেয়েছে। তাদের এজেন্ডা ভিন্ন ছিল।

এনসিপির বিবৃতি : সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপি বলেছে, যারা ১৯৭১ সালে এই জনপদের মানুষের জনযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, তারা জাতির সামনে তাদের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করবে। ‘সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিতর্কে এনসিপির অবস্থান’ শিরোনামে দলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিটি পাঠিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দফতর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা এবং জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করার দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-মত-পক্ষ এবং সাধারণ ছাত্র-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করলেও একটি পক্ষ সচেতনভাবে দলীয় সেøাগান এবং বাংলাদেশের জনগণের ঐতিহাসিক সংগ্রামবিরোধী স্লোগান দিয়েছে, যা জুলাই-পরবর্তী সময়ে সাম্প্রতিক আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য নবায়নের সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে।’

এনসিপি বলেছে, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, এনসিপির কোনো সদস্য সাম্প্রতিক আন্দোলনে দলীয় সেøাগান কিংবা এই জনপদের মানুষের সংগ্রাম ও ইতিহাসবিরোধী কোনো স্লোগান দেয়নি। ফলে যেসব আপত্তিকর স্লোগান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পক্ষকেই বহন করতে হবে। এনসিপিকে এর সঙ্গে জড়ানো সম্পূর্ণ অহেতুক ও অনাকাক্সিক্ষত। বরং এনসিপি সদস্যদের বক্তৃতা ও স্লোগানে এই জনপদের মানুষের ঐতিহাসিক সংগ্রামের অধ্যায়গুলো তথা ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের প্রতিফলন ছিল। আমরা আরও লক্ষ করেছি, আন্দোলনকারীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সময় একটি পক্ষ আপত্তি জানালেও তারা দৃঢ়তার সঙ্গে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।’

বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহাসিক সংগ্রামের অধ্যায় তথা ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের যথাযথ স্বীকৃতি এবং মর্যাদা বাংলাদেশে রাজনীতি করার পূর্বশর্ত বলে এনসিপি মনে করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘যারা ১৯৭১ সালে এই জনপদের মানুষের জনযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে, আমরা চাই তারা নিজেদের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান জাতির সামনে ব্যাখ্যা করে জাতীয় সমঝোতা ও ঐক্যকে সুদৃঢ় করবে এবং চব্বিশের অভ্যুত্থানের জনআকাক্সক্ষাকে বাস্তবায়নে সহযোগী হবে।’

ক্ষুব্ধ জামায়াত : মাহফুজ আলমের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এ নিয়ে গতকাল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাজনৈতিক নীতি-নির্ধারণী ফোরামের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছাত্র-জনতার রক্তে গড়া অন্তর্বর্তী সরকারের একজন দায়িত্বশীল উপদেষ্টার এই ধরনের বক্তব্যকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। বৈঠকে অংশ গ্রহণকারী জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে জীবন দিয়েছে সে স্বপ্ন এখনও পূরণ হয়নি। যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। এ পর্যায়ে এ ধরনের পুরোনো কাসুন্ধি বিভাজনমূলক কথা জাতির আশা-আকাক্সক্ষার পরিপন্থী। এসব কথা দেশের মানুষ অনেক আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, এ সময় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদ চিরতরে নির্মূল করতে হবে। 

এদিকে উপদেষ্টা মাহফুজের ওই বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কোনো উসকানি কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনায় না জড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান। গতকাল তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিবেশ স্বাধীনতার পর থেকে কখনো কাক্সিক্ষত মানে পৌঁছায়নি। সেই অবস্থা এখনও অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতিতে অনেক কিছুই অনাকাক্সিক্ষত ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়। এ অবস্থায় দলীয় সহকর্মীদের প্রতি পরামর্শ- সর্বাবস্থায় ধৈর্য, সহনশীলতা, মহান আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল ও ইনসাফের ওপর দৃঢ় থাকার চেষ্টা করতে হবে। কোনো উসকানি কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ানো একেবারেই ঠিক হবে না। আশা করি, সবাই বিষয়টির দিকে গুরুত্বসহকারে নজর দেবেন।

সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত : সোমবার শাহবাগে জাতীয় সংগীত অবমাননার প্রতিবাদে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। কর্মসূচিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অংশ নিতে দেখা যায়। এ ছাড়া বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কয়েকজন নেতাকেও অংশ নিতে দেখা গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়